রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলির ঠিকানা


সামনেই ভর্তি পরীক্ষা। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। তাই ওয়েবসাইটগুলো হাতের কাছে রাখা প্রয়োজন। জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলির ঠিকানা ...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-www.du.ac.bd
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-www.ru.ac.bd
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-www.cu.ac.bd
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা-www.juniv.edu
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ,ঢাকা-www.jnu.ac.bd
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-www.buet.ac.bd
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-www.kuet.ac.bd
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(রুয়েট)-www.ruet.ac.bd
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-www.cuet.ac.bd
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি)-www.iutoic-dhaka.edu
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)-www.mist.ac.bd
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ-www.bsmrstu.edu.bd
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), সিলেট-www.sust.edu
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)-www.pstu.ac.bd
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(পাবিপ্রবি)-www.pust.ac.bd
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)-www.jstu.edu.bd
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)-www.nstu.edu.bd
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ,টাঙ্গাইল-www.mbstu.ac.bd
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর-www.hstu.ac.bd
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ময়মনসিংহ-www.bau.edu.bd
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-www.sau.ac.bd
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-www.bsmrau.edu.bd
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট-www.sylhetagrivarsity.edu
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটি-www.cvasu.ac.bd
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-www.but.edu.bd
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া-www.iubd.net
জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল ময়মনসিংহ-www.jkkniu.edu.bd
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়-www.ku.ac.bd
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়-www.cou.ac.bd
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-www.brur.ac.bd

মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই, ২০১২

হুমাউন আহাম্মেদ সমগ্র ***পিডিফ***

প্রয়াত সাহিত্তিক হুমাউন আহাম্মেদ সরনে এই  post.
তার কিছু অমর লেখা জা আমরা চাইলেও ভুলে জেতে পারবনা যেমন হিমু ,মিসির আলি , সুভ্র  এবং আরো অসংখ্য বই আছে । আমি চেস্টা করেছি এখানে উনার কিছু বই শেয়ার করার ।
আমি চেষ্টা করেছি বেস্ট পিডিএফ প্রিন্ট গুলো সংগ্রহ করতে। জানি না কতটুকু সফল হয়েছি। হয়তো অনেক বই বাদ পড়েছে, হয়তো সাজানোয় ভুল হয়েছে। মানুষ মাত্রই ভুল, তাই ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করছি


মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্কস :


part 1 :
http://www.mediafire.com/?fzv28gz2n4u48qv
part 2:
http://www.mediafire.com/?ctjcfg0n7b7eomf
part 3:
http://www.mediafire.com/?hmducqundewjo9q
part 4:
http://www.mediafire.com/?ssgdgsy60ivf9co
part 5:
http://www.mediafire.com/?44od6k4mv13j4mk
part 6:
http://www.mediafire.com/?vicg3x0cw3gyywy
part 7:
http://www.mediafire.com/?dltd3u313g0pvhi


কোন রকম সমস্যা বা লিঙ্ক কাজ না করলে জানাতে পারেন

সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২

নারীরা আকৃষ্ট বোধ করেননা দাড়িওয়ালা পুরুষদের প্রতি
নারীরা আকৃষ্ট বোধ করেননা দাড়িওয়ালা পুরুষদের প্রতি- এমনি একটি তথ্য পাওয়া গেছে নতুন এক গবেষণা থেকে। ‘বিহেভ্যারিয়েল ইকোলজি’ নামক একটি সাময়িকীতে সম্প্রতি এই গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়। গবেষণাটি পরিচালনা করতে নিউজিল্যান্ড ও সামোয়া থেকে ১৯ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রথমে দাড়ি ছাড়া এবং ৬ সপ্তাহ দাড়ি রাখার পর আবার তাদের ছবি তোলা হয়। এরপর ২০০ নারীর কাছে তাদের ছবিগুলো দিয়ে আকর্ষণের ভিত্তিতে নাম্বার দিতে বলেন গবেষকরা। ফলাফলে দেখা যায়, দুটি দেশের নারীরাই ক্লিন সেভ করা মুখগুলোকেই বেশি নাম্বার দিয়েছে। এর মানে নারীর চোখে দাড়িওয়ালাদের চেয়ে পরিপাটি সেভ করা মুখই বেশি আকর্ষণীয়। নারীদের মতে, দাড়ি থাকলে পুরুষদের বেশি বয়ষ্ক ও আগ্রাসী মনোভাবের মনে হয়।
পাওয়া গেল লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির হারানো পেইনটিং
গবেষক এবং বিশেষজ্ঞরা লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির একটি দেয়ালচিত্র সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেটি ষোড়শ শতাব্দীতে অাঁকা হয়েছিল। দেয়ালচিত্রটি অাঁকা হয়েছিল ফ্লোরেন্সের একটি দেয়ালে। নাম ‘আঙ্গিয়ারির যুদ্ধ’ যে দেয়ালে দেয়ালচিত্রটি অাঁকা হয়েছিল তা ফ্লোরেন্সের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বিল্ডিং, প্যালেস হল। তবে দ্য ভিঞ্চির দেয়ালচিত্রের ওপর অাঁকা ছিল জর্জিও ভাসারির আরেকটি চিত্র। তা পলেস্তারার মতো কাজ করেছে এবং দ্য ভিঞ্চির অঙ্কনটি রক্ষা করেছে। শত বছর ধরে এই অঙ্কনটি খুঁজেছেন চিত্রশিল্পী এবং ইতিহাসবিদরা। অনেকেই বিশ্বাস করেন ১৫০৫ সালে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি দেয়ালচিত্রটি অাঁকা শুরু করেন। ষোড়শ শতাব্দীতে ফ্লোরেন্স মিলান দখল করে নেয়। সংঘর্ষ ঘটে আঙ্গিয়ারির ছোট্ট শহরে। তবে দেয়ালচিত্রটি অসম্পূর্ণ। লিওনার্দো ফ্লোরেন্স ছেড়ে চলে যান ১৫০৫ সালেই। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ইতালীয় প্রকৌশলী মাউরিৎসিও সেরাচিনি সাংবাদিকদের জানান, দেয়ালচিত্র থেকে যেসব রং পাওয়া গেছে, তা থেকে বোঝা যায় যে, প্রাসাদের হলটিতে পঞ্চদশ শতাব্দীতে তা অাঁকা হয়েছিল এবং রংগুলো ব্যবহার করেছিলেন দ্য ভিঞ্চি। লাল, কালো এবং বেজ রংয়ের পেইন্ট তোলা হয় দেয়ালচিত্র থেকে। এই রংগুলোর সঙ্গে প্রাকৃতিক রংয়ের সাদৃশ্য পাওয়া গেছে। দ্য ভিঞ্চি সবসময়ই এভাবে রং ব্যবহার করতেন তার পলেস্তারায়। লিওনার্দোর এই দেয়ালচিত্র হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়িয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তারা একযোগে কাজ করছেন ফ্লোরেন্স শহর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। মাউরিৎসিও সেরাচিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, জর্জিও ভাসারির পলেস্তারা থেকে যে রং আমরা পেয়েছি, তা তৈলচিত্রের জন্যও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসব রং এবং দ্য ভিঞ্চির ‘আঙ্গিয়ারির যুদ্ধ’র রংয়ের ব্যবহার একই রকম। তিনি আরও জানান, ‘যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা এককথায় অসাধারণ। যদিও আমরা গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি, তারপরও বলতে পারি, রহস্য উন্মোচনে এখনো অনেক কাজ বাকি। তবে আমরা
আসল জায়াগাতেই খোঁজাখুঁজি করছি সে বিষয়ে নিশ্চিত।

মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১২

ডিএনএ এখনো রহস্যময়!

আলাদাভাবে একজন ব্যাক্তির জীনের পূর্ণাঙ্গ সঙ্কেতলিপির পাঠোদ্ধার করা গেছে। সেই মানচিত্র দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে মানুষের জেনেটিক কোড বা জীন সংকেত যতোটা ভাবা হয়েছিল তার চেয়েও অনেক অনেক জটিল। যেমন, বিজ্ঞান এখনো বলতে পারে না কেন কারো চোখের রং নীল, কারোটা কালো কিংবা ধূসর।

এই গবেষণার অন্যতম উদ্যোক্তা ক্রেইগ ভেন্টারের নিজের ডিএনএ মানচিত্রতে দেখা যায় এমন ৪১ লক্ষ স্থান রয়েছে যেখানে তার জেনেটিক কোড রেফারেন্স মানব জেনোম থেকে ভিন্ন।

এটা যা ধারণা করা হয়েছিল তার থেকে অনেক অনেক বেশি আলাদা।

এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ভেন্টার বলেন, "আমার মনে হয় এই আবিস্কারের ফলে সবচেয়ে বড় যে বিস্ময়ের মুখোমুখি আমরা হয়েছি তা হলো আমরা যতোটা ভাবি তার চেয়েও আমরা একজন আরেকজনের তুলনায় অনেক বেশি ভিন্ন।"

ভেন্টার বলেন, " আমার নীল চোখ থাকার সম্ভাবনাই বেশি, এটা আমি জানি। কিন্তু আমার জেনেটিক কোডের দিকে তাকিয়ে শতকরা ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা দিয়েও আপনি বলতে পারবেন না যে আমার চোখ নীল কী না।"

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের জে ক্রেইগ ভেন্টর ইন্সটিটিউটের গবেষকরা কানাডার টরন্টোর দি হসপিটাল ফর সিক চিলড্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া সান ডিয়েগোর গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে ভেন্টার এর জেনেটিক কোড বিশ্লেষন করেন। ২০০১ সালে ভেন্টারের প্রাইভেট কোম্পানি ও সরকারি উদ্যোগে গঠিত হিউম্যান জেনোম প্রজেক্ট কর্তৃক প্রকাশিত মানব জিন মানচিত্রকে তারা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেন এবং তার সঙ্গে ভেন্টারের জেনেটিক কোডের তুলনা করেন।

২০০১ সালের জীন মানচিত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের ডিএনএ ব্যবহার করা হয়েছিল।

গবেষকরা পাবলিক লাইব্রেরি অফ সায়েন্স সাময়ীকি পিএলওএস বায়োলজিতে লেখা এক নিবন্ধে বলেন, "গড় জিন মানচিত্রের সঙ্গে ব্যাক্তিবিশেষের মানচিত্রের এহেন দূর্লভ ও বিস্তারিত নীরিক্ষা আগামীতে জীন গবেষণায় অনেক কাজে দেবে।"

বাজার করতে গিয়ে পুরুষ ও মহিলারা ভিন্ন আচরণ করে

পুরুষ ও মহিলা বাজার করতে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখায়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষনায় পাওয়া গেছে এই ফলাফল। গবেষকরা দেখেছেন, বাজারে গিয়ে পুরুষ সরাসরি তার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে ফেলে। কিন্তু মহিলারা প্রথমে বাজারে কী কী আছে তা পর্যবেক্ষণ করে। তারপর তারা নির্দ্দিষ্ট জিনিস কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। খবর ওয়েবসাইটের।

গবেষকরা বলেন, "বেশীরভাগ পুরুষ কেবল প্রয়োজন হলেই জামাকাপড় কিনতে যায়। এবং এক্ষেত্রে তারা শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসটি কেনে। অন্যদিকে মহিলারা প্রয়োজন থাকুক আর না থাকুক বাজারে যাবে। মহিলারা সম্ভাবনার ভিত্তিতে বাজার থেকে কোন জিনিস কেনে। অর্থাৎ তারা বাজারে গিয়ে প্রথমে দেখে কী কী জিনিস বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তারাপর সেখান থেকে পছন্দমতো জিনিস কেনে।"

এই গবেষক দল পুরুষ ও মহিলাদের নিয়ে দুইটি পরীক্ষা করেছেন। দেখা গেছে, কোন নিদিষ্ট বস্তুর প্রতি পুরুষ ও মহিলার অবচেতন মনের প্রতিক্রিয়া হয়। এই প্রতিক্রিয়ায় ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

হুক্কা সেবন ধূমপানের মতই ক্ষতিকর

অনেকেরই ধারণা, হুক্কায় ধোঁয়া যেহেতু পানির ভিতর দিয়ে আসে তাই এটা সেবন তেমন ক্ষতিকর নয়। কারণ এটা পরিস্রুত হয়ে আসে। অন্তত সিগারেটের চেয়ে কম ক্ষতি হবে এতে। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, হুক্কার মাধ্যমে তামাক সেবন সিগারেটের ধূমপানের মতই সমান ক্ষতিকর। খবর ভারতীয় ওয়েবসাইটের।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের এক দল বিশেষজ্ঞ ওই গবেষণা পরিচালনা করেন।

শহরের মানুষ সিগারেট, চুরুট ইত্যাদির মাধ্যমে ধূমপান করলেও গ্রামের অনেকে এখনো হুক্কার মাধ্যমে কাজটা সারেন। আগে নবাব বা বাদশাদের দরবারেও বিশেষ ধরনের হুক্কার ব্যবস্থা ছিল। হালে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপেও হুক্কার বিস্তার ঘটছে।

গবেষকদের প্রধান ডক্টর ওয়াসিম মাজিক বলেছেন, "বিশ্বের অনেক দেশেই হুক্কা জনপ্রিয়। পশ্চিমা দেশগুলো যেখানে জনগণকে ধূমপানে নিরুৎসাহিত করছে, সেখানে শুধুমাত্র উপযুক্ত তথ্যের অভাবে অনেক অঞ্চলেই হুক্কাসেবন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। যেহেতু হুক্কাতে পানির সঙ্গে মিশিয়ে তামাক সেবন করা হয়, তাই অনেকেই মনে করেন, এটা খুব বেশি ক্ষতিকর নয়। কিন্তু এই ধারণাটি ভুল। তামাক যেভাবেই গ্রহণ করা হোক না কেন, তা সর্বদাই ক্ষতিকর।"

সবচেয়ে ঝাল মরিচ 'ভূত জোলোকিয়া'

অনেক গবেষণার পর নিউ মেক্সিকো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল মরিচ হলো ভারতের আসামের ভূত জোলোকিয়া। মরিচটি তার এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য তার আগের চ্যাম্পিয়ন রেড স্যাবিনাকে হটিয়ে জায়গা করে নিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। খবর ভারতীয় ওয়েবসাইটের।

স্কভিল হিট ইউনিটের পরীক্ষায় ভূত জোলোকিয়া ১০ লক্ষ পয়েন্ট পায় যা রেড স্যাবিনার তুলনায় দ্বিগুন।

ইংল্যান্ডের সবচেয়ে উদ্ভট আইন

ধরুন, ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভাষন দিচ্ছেন। সাধারণত এরকম ভাষন খুবই ক্লান্তিকর হয়। সেটা শুনে অনেকেই বিরক্ত বোধ করেন। কিন্তু বিরক্ত হয়ে মারা গেছেন এরকমটা কখনো হয়নি। হলে বিপদ ছিল। কারণ বৃটিশ পার্লামেন্টের মধ্যে মারা গেলে সেটাকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

ইংল্যান্ডে এরকম আরো বেশ কিছু আইন আছে, যেগুলোকে একথায় বলা যায় উদ্ভট বা অদ্ভুত আইন।

বিশ্বের সবচেয়ে দামী সুগন্ধি কোনটি?

বিশ্বের সবচেয়ে দামি পারফিউম বা সুগন্ধি কোনটি? গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানাচ্ছে, এটা হলো ব্রিটিশ রাজকীয় সুগন্ধি ইম্পেরিয়াল ম্যাজেস্টি। খবর মার্কিন ওয়েবসাইটের।

ব্রিটিশ কোম্পানি কর্তৃক তৈরি এই সুগন্ধির এক বোতলের মুল্য ২ লাখ ১৫ হাজার ডলার মাত্র। ৫ ক্যারাট হীরক ও ১৮ ক্যারাট সোনার সেট দিয়ে সজ্জিত ব্যাকারাটের স্বচ্ছ বোতলে রয়েছে এই সুগন্ধি। একেকটি বোতলে এর পরিমান ৫০০ মিলিলিটার। নাম্বার ওয়ান বলেও ডাকা হয় একে।

ব্রিটেনের বিলাসসামগ্রী প্রস্তুতকারক কোম্পানি 'ক্লাইভ ক্রিশ্চিয়ান' এই সুগন্ধি খুব অল্প পরিমানই বাজারে ছেড়েছে।

এ পর্যন্ত এই সুগন্ধির মাত্র ১০টি বোতল বাজারে এসেছে। এটি পেতে হলে অগ্রিম চাহিদা পেশ করতে হয়।

সুগন্ধির প্রস্তুতকারক ক্লাইভ ক্রিশ্চিয়ান জানান, "আমরা এমনভাবে এই সুগন্ধি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি যেখানে মূল্যের বিষয়টি হিসেবে রাখা হয়নি। সবচেয়ে ভাল সুগন্ধিটা করার চেষ্টা করেছি আমরা।"

চলতি সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে এই সুগন্ধি প্রদর্শনীর পর গিনেস রেকর্ডস এর স্বীকৃতি তুলে দেওয়া হবে তার হাতে, জানিয়েছেন গিনেসের এক মুখপাত্র মেদেলিন বিলফেল্ড।

যাদের হাতে এই বহুমূল্য সুগন্ধি কেনার মতো অর্থ নেই তাদের জন্য এর একটা সস্তা সংস্করণও বাজারে ছাড়া হয়েছে। তাহিতিয়ান ভ্যানিলা ও ভারতীয় চন্দনবৃক্ষের সুবাসসমৃদ্ধ এই পারফিউমের মূল্য ২ হাজার ৩৫০ ডলার। এক আউন্সের সুবাসটি মিলবে নিউ ইয়র্কের সাকস ফিফথ এভিনিউতে। এর চেয়েও কম মূল্যের আরেকটি সংস্করণ রয়েছে যার দাম পরবে ৮৬৫ ডলার।

সন্ধান মিলেছে মোনালিসার!

চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির বিখ্যাত প্রতিকৃতি 'মোনালিসা'র মডেলের পরিচয় শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে একদল জার্মান বিশেষজ্ঞ।

তারা দাবি করছেন, ফ্রাঞ্চেসকো ডেল জোকন্ডো নামে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী লিসা গেরারডিনি দেখতে ছিলেন অনেকটা ষোড়শ শতাব্দীর সেই বিখ্যাত পোট্রেট মোনালিসার মতোই।

মোনালিসার পরিচয় বের করতে গিয়ে বারবারই হোঁচট খেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কখনো তারা ভেবেছেন, এটা লিওনার্দোর প্রেমিকার, কখনো মায়ের আবার কখনো তার নিজের বলেও ধারণা করতে বাদ রাখেননি।

হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরির বিশেষজ্ঞরা ১৫০৩ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত একটি বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, লিসাই লিওনার্দোর সেই বিখ্যাত সৃষ্টি মেনালিসার প্রকৃত মডেল।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির পাণ্ডুলিপি বিশেষজ্ঞ ড. আরমিন এক বিবৃতিতে মোনালিসার ছবির মডেলকে আবিস্কারের দাবি করেন।

এ পর্যন্ত ছবির পরিচয় সংক্রান্ত 'সীমিত আলামত' পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

এর আগে মোনালিসার ছবির পরিচয় বের করতে যারা গবেষণা করেছেন তারাও মেনে নিয়েছেন- হাইডেল ইউনিভার্সিটির এই তথ্য প্রমাণ মোনালিসা রহস্য উন্মোচনে একটি বড় ধরনের অগ্রগতি।

লিপজিক ইউনিভার্সিটির চিত্রকর্ম বিষয়ক গবেষক ফ্র্যাঙ্ক জোলেনার জার্মান রেডিওকে বলেছেন, এই চিত্রকর্মটি অন্য কারো হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।

ওই লাইব্রেরি দাবি করেছে, এই নারী মডেল ১৫৫০ সালের দিকে চিত্রকর্মের সঙ্গে যুক্ত হন- এমনটি দাবি ইটালিয়ান কর্তৃপক্ষের। তবে তাদের সেই দাবির ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ চিত্রকর্মটি তৈরির পাঁচ দশক পর তারা এটির ব্যাপারে কথা বলেছেন।

শতবর্ষী বাল্ব

একশ'রও বেশি বয়সে মাত্র মিনিট দশেকের বিরতি। বাকি পুরোটা সময় অক্লান্ত ভঙ্গীতে আলো ছড়াচ্ছে মাত্র চার ওয়াটের বিস্ময়কর এক বাল্ব। ক্যালিফোর্নিয়ার লিভারমোরের দমকল অফিসের ইঞ্জিনঘরের বাল্বটির গুণের স্বীকৃতি মিলেছে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ও রিপ্লিস বিলিভ ইট অর নট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও

বিশেষ ইনহেলার ব্যবহারে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে: গবেষণা

ফুসফুসের গুরুতর সমস্যায় ব্যবহৃত হয় এমন ইনহেলার মারাত্মক ধরণের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে ব্রিটিশ লাঙ ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় জানা গেছে।

১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর পরিচালিত এ গবেষণায় জানা যায়, নাক দিয়ে টেনে অ্যান্টিকোলিনারজিক জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করায় হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য হৃদরোগের কারণে মৃত্যু ঝুঁকি ৫৮ শতাংশ বেড়ে যায়।

আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের এক সাময়িকীতে এ গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) আক্রান্ত রোগীদের বহুল ব্যবহৃত দুটি ওষুধ হল 'অ্যাটরোভেন্ট' এবং 'স্পিরিভা' যাতে অ্যান্টিকোলিনারজিক উপাদান রয়েছে।

এ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নিজেরাই এ বছরের শুরুতে এসব ইনহেলার ব্যবহারে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে সতর্ক করার পর ড. ইয়ন লোকের দল এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।

ভুতে আমেরিকানদের বিশ্বাস বাড়ছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্ক খ্রিস্টানদের মধ্যে কিছু মানুষের জ্যোতিষবিদ্যা, পুনর্জন্ম প্রভৃতি আধিভৌতিক ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাস দিন দিন বাড়ছে। প্রাপ্তবয়স্ক অনেক আমেরিকানই নিজ চোখে ভুত দেখেছেন বলে দাবি করেছেন।

ধর্ম ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে পিউ ফোরামের একটি জরিপে দেখা যায়, আশ্চর্যজনকভাবে বেশি সংখ্যক আমেরিকান ভুত দেখেছেন বলে মনে করেন অথবা 'নিউ এজ' বিপ্লব বা প্রাচ্যের ধর্মীয় আধিভৌতিক বিষয়গুলো বিশ্বাস করেন।

এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নিজেদের ক্যাথলিক বা ইভানজেলিক খ্রিস্টধর্মের অনুসারী বলেও দাবি করেন।

পিউ-এর গবেষক অ্যালেন কুপারম্যান বলেন, ধর্মনিষ্ঠ আমেরিকানদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেককেই নির্দিষ্ট কোনো ছাঁচে ফেলা যাবে না।

গত আগস্টে আমেরিকার প্রায় চার হাজার প্রাপ্তবয়স্কের ওপর এ জরিপ চালানো হয়।

বুধবার প্রকাশিত জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, প্রতি দশ জনের মধ্যে তিন জন আমেরিকান মনে করেন তারা কোনো মৃত ব্যক্তির স্পর্শ পেয়েছেন। ১৮ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন তারা ভুত দেখেছেন অথবা এর উপস্থিতি অনুভব করেছেন।

পিউ-এর অন্য একটি জরিপে দেখা যায়, অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক আমেরিকান প্রাচ্যের ধর্ম বা 'নিউ এজ' বিপ্লবের মূল বিশ্বাসগুলোকে তাদের ধর্মের প্রধান বিশ্বাস বলে মনে করেন না। কিন্তু জরিপে অংশ নিয়েছেন, এমন এক চতুর্থাংশ ব্যক্তি এর কিছু কিছু অংশ বিশ্বাস করেন।

প্রায় ২৫ শতাংশ বলেছেন, তারা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেন এবং ২৩ শতাংশ বিশ্বাস করেন 'যোগব্যায়াম' একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন। ২৬ শতাংশ বিশ্বাস করেন গাছ বা এই জাতীয় অন্যান্য বস্তুর মধ্যে 'আধ্যাত্মিক শক্তি' পাওয়া যেতে পারে।

এক চতুর্থাংশ জানিয়েছেন তারা জ্যোতিষবিদ্যা বিশ্বাস করেন। ১৬ শতাংশ মনে করে 'কুদৃষ্টি'র অস্তিত্ব আছে ও কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যাক্তির উপর যাদু-টোনা করতে পারে; কৃষ্ণাঙ্গ প্রোটেস্ট্যান্ট আমেরিকানদের মধ্যে এই বিশ্বাস ৩২ শতাংশের।

আমেরিকানদের মধ্যে জ্যোতিষবিদ্যা বিশ্বাসকারীদের সংখ্যা নিজেদের 'রোমান ক্যাথলিক' দাবিকারীদের সংখ্যার প্রায় সমান।

জরিপে অংশ নেওয়া ক্যাথলিকদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ জ্যোতিষবিদ্যায় বিশ্বাস করেন। প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত গির্জায় যায় এমনদের মধ্যে এই সংখ্যা ১৬ শতাংশ।

প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানদের মধ্যে প্রতি চার জনের মধ্যে এক জন ইভানজেলিকান প্রোটেসট্যান্ট যারা বাইবেলকে খুবই মেনে চলেন। কিন্তু এই গবেষণায় দেখা যায়, এদের মধ্যে ১৩ শতাংশ জ্যোতিষবিদ্যায় বিশ্বাস করেন এবং ১০ শতাংশ পুনর্জন্মের সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে মনে করেন।

ব্যাপ্টিস্ট খ্রিস্টানদের মধ্যে এই বিশ্বাসের শতকরা পরিমাণ কম হলেও সংখ্যার হিসাবে তা অবাক হওয়ার মতো বেশি বলা যায়।

গবেষকরা জানান, তারা এই ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্য রেখেছেন যে পুনর্জন্ম বলতে তারা যিশুখ্রিস্টের পুনর্জন্ম বোঝাননি, বরং একজন মানুষের পৃথিবীতে আবার জন্ম নেওয়াকে বোঝাচ্ছেন।

জরিপে বলা হয়, ইভানজেলিকানরা 'আধ্যাত্মিক কথোপকথনে' বেশি গুরুত্ব দেয় বলে তাদের 'আধ্যাত্মিক' অভিজ্ঞতা বেশি হবে বলে মনে করা হয়।

অন্তত ৫০ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন তাদের এ ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে শ্বেতাঙ্গ ইভানজেলিকানদের মধ্যে ৭০ শতাংশ এবং কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ৭১ শতাংশ এই দাবি করেছেন।

পুরুষেরাই ভিনগ্রহের বাসিন্দায় বেশি বিশ্বাসী

ভিনগ্রহহের বাসিন্দারা আমাদের চারপাশেই আছে। তারা মানুষের ছদ্মবেশ নিয়ে থাকে। এই বিশ্বাস পুরুষে মধ্যেই বেশি।

বিশ্বব্যাপী পরিচালিত রয়টার্সের (এলপিএসওএস) এক জরিপে দেখা গেছে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ 'ভিনগ্রহের বাসিন্দা'য় বিশ্বাস করে।

এলপিএসওএস বিশ্বের ২২টি দেশের ২৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর এই জরিপ চালায়। এতে দেখা যায় ভারত ও চীনের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে ভিনগ্রহের বাসিন্দারা আমাদের চারপাশেই মানুষের ছদ্মবেশ নিয়ে ঘোরফেরা করে। তবে বেলজিয়াম, সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডে সর্বনিু মাত্র ৮ শতাংশ মানুষ এটি বিশ্বাস করে।

মার্কেট রিসার্চ ফার্ম (এলপিএসওএস) এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জন রাইট বলেন, জনবহুল ও কম জনসংখ্যা অধ্যুষিত রাষ্ট্রের মধ্যে এ ধরনের বিশ্বাসের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। জনবহুল রাষ্ট্রের মানুষের মধ্যে 'ভিনগ্রহের বাসিন্দা'য় বিশ্বাস বেশি।

তিনি আরো বলেন, এটি খুব সাধারণ বিষয় যে, কম জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশের মানুষ তার প্রতিবেশি সম্পর্কে খুব ভালো ভাবেই জানে।

জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ২২ শতাংশ পুরুষ 'ভিনগ্রহের বাসিন্দা'য় বিশ্বাসী। নারীর ক্ষেত্রে তা ১৭ শতাংশ।

মূলত ৩৫-এর নিচে যাদের বয়স তাদের মধ্যেই 'ভিনগ্রহের বাসিন্দা'য় বিশ্বাস বেশি।

মায়ের কণ্ঠস্বরেই স্বস্তি পায় শিশু

মাকে সরাসরি দেখে বা স্পর্শ করে শিশু যে মানসিক স্বস্তি পায় টেলিফোনে কেবল মায়ের কন্ঠ শুনেই তারা সেই একই স্বস্তি পেতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।

যেসব মায়েরা কেবল টেলিফোনে কথা বলে সন্তানকে শান্ত রাখা নিয়ে অস্বস্তি বোধ করেন তাদেরকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে নতুন গবেষণার এ ফল।

প্রিয়জনের কণ্ঠস্বর মানুষকে কতটা প্রভাবিত করে তা খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছেন মার্কিন গবেষকরা। এক্ষেত্রে মানুষকে শান্ত রাখতে সহায়ক 'অক্সিটসিন' হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করেছেন তারা। মানসিক চাপে থাকা একদল মেয়ে শিশুর ওপর এ পরীক্ষা চালান তারা।

৭ থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত ৬১ জন শিশুর প্রত্যেককে একজন আগুন্তুকের সামনে একটা কিছু করে দেখাতে বলা হয়। পরে তাদের তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়।

এরপর ওই শিশুদের একটি অংশ তাদের মায়েদের সঙ্গে দেখা করে স্বস্তিবোধ করে। দ্বিতীয় গ্র"পের মেয়েরা মাকে চাক্ষুস না দেখলেও টেলিফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলে। অন্য গ্র"পটি এর কোনোটাই করে নি।

পুরো প্রক্রিয়াতেই তাদের অক্সিটসিন হরমোনের মাত্রা মাপা হয়। এতে দেখা গেছে, যেসব শিশু মাকে সামনা সামনি দেখেছে কিংবা শুধু টেলিফোনে কথা বলেছে, এদের দু' গ্র"পেরই অক্সিটসিন হরমোনের মাত্রা ছিল একই।

এ পরীক্ষা থেকে গবেষকরা বলছেন, মানসিক চাপে থাকা শিশুরা সরাসরি মাকে দেখে বা স্পর্শ করে যে স্বস্তি পায়, মায়ের কণ্ঠস্বরও শিশুকে সেই একই স্বস্তি এনে দিতে পারে।"

গবেষণার ফল এটাই প্রমাণ করছে যে, সম্পর্কের বন্ধনের ক্ষেত্রে স্পর্শের মতো কণ্ঠস্বরও বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

'প্রসিডিংস অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি' জার্নালে গবেষণা প্রতিবেদনটি ছাপা হয়।

টাকা পয়সার ব্যাপারে ছেলেরা বেশি ধোঁকাবাজ

টাকা পয়সার ব্যাপারে ছেলেরা বৃদ্ধ মা-বাবাকে মেয়েদের চেয়ে বেশি ধোঁকা দিয়ে থাকে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ভিক্টোরিয়ার স্টেট ট্রাস্টি'র দেওয়া ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলীয়রা সাধারণত দীর্ঘায়ু ও সম্পদশালী হয়ে থাকে। তাই পরিবারগুলো উত্তরাধিকার ও সম্পত্তির হাতবদল কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে দিন দিন সে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

এ সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃদ্ধদের অধিকাংশই এ নথির মাধ্যমে সংস্থাটির নজরে এসেছে।

এতে বলা হয়, 'এসব লোকদের বেশিরভাগই মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের কাছে বেশি অর্থনৈতিক নিপীড়নের শিকার। আর এ প্রবণতা বাড়ছে।'

নিপীড়নের শিকার এসব মানুষের গড় বয়স প্রায় ৮০ বছর। এদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশের বয়স ৮৪ বছরের চেয়ে বেশি এবং তারা মতিভ্রম বা অন্য ধরনের রোগে ভুগছে।

মেধা বিকাশ, ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক সংগীত

সংগীত বা গান-বাজনা মানুষের মেধা বিকাশের পাশাপাশি বিদেশি ভাষায় দক্ষতা ও বাচনশৈলী বাড়াতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণা পর্যালোচনায় একথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কোন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে শিখলে তা মানুষের চিন্তাশক্তির পরিবর্তন ঘটায় এবং সুর সাধনা বিদেশি ভাষায় দক্ষতা ও বাচনশৈলী বাড়ায়।

এর আগে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গিয়েছিল মোৎজার্টের সুর বা অন্য কোন কালজয়ী সঙ্গীত শুনলে মন চটপটে হয়ে ওঠে। তবে সংগীত যে আমাদের মেধা বিকাশে সহায়ক তার খুব অল্পই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিলো আগের গবেষণাগুলোতে।

নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য উপাত্ত ভিত্তিক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, মিউজিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষণ মানুষের ভাষা দক্ষতা, বাচনশৈলী, স্মৃতি শক্তি, মনোযোগ বাড়ানোসহ কণ্ঠস্বরে আবেগের প্রকাশ ঘটাতে সহায়ক।

আকর্ষণীয় নারীদের বিড়ম্বনা!

আকর্ষণীয় চেহরার নারীরা 'পুরুষের' জন্য উপযোগী হিসেবে বিবেচিত চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারে।

ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো ডেনভার বিজনেস স্কুলের এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, চেহারা গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন চাকরির জন্য আবেদন করে আকর্ষণীয় অবয়বের নারীরা বৈষম্যের শিকার হয়।

এসব চাকরির মধ্যে রয়েছে গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক ব্যবস্থাপক, অর্থ বিভাগের পরিচালক, যন্ত্র প্রকৌশলী ও নির্মাণ পর্যবেক্ষক।

এছাড়াও রয়েছে নিরাপত্তা পরিচালক, যন্ত্রাংশ বিক্রেতা, কারারক্ষী ও ট্রাক চালকের চাকরি।

এক বিবৃতিতে গবেষক স্টেফানি জনসন বলেন, "এসব পেশায় আকর্ষণীয় হওয়া নারীদের জন্য ক্ষতিকর মনে করা হয়।"

তিনি আরো বলেন, আকর্ষণীয় চেহারার নারীদের অভ্যর্থনাকর্মী বা সেক্রেটারির মতো পেশায় নির্বাচনের প্রবণতা রয়েছে।

স্টেফানি বলেন, "আর অন্যান্য পেশায় আকর্ষণীয় নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়।"

গবেষণায় আরো বলা হয়, আকর্ষণীয় চেহারার নারীরা নির্বাচিত কিছু পেশা থেকে বঞ্চিত হলেও আকর্ষণীয় চেহারার পুরুষরা এ ধরণের বৈষম্যের শিকার না হয়ে বরং সুবিধাই পেয়ে থাকে।

গবেষণার জন্য চাকরিদাতাদের কাছে বেশ কিছু চাকরির তালিকা ও আবেদনকারীর (৫৫ জন নারী ও ৫৫ জন পুরুষ) ছবি দিয়ে তার মধ্য থেকে চাকরির জন্য উপযুক্তদের নির্বাচন করতে বলা হয়।

জার্নাল অব সোস্যাল সাইকোলজিতে এ গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।

টাকায় সুখ কেনা যায়?

টাকা কি সত্যিই আপনাকে সুখী করতে পারে? মোটেই না। কিন্তু যদি বার্ষিক উপার্জন হয় প্রায় ৭৫ হাজার ডলার পর্যন্ত তবে তা মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা মঙ্গলবার বলেছেন একথা।

১ হাজার জন আমেরিকানের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সার্বিকভাবে তারা সবাই বেশ সুখী। তবে যত বেশি টাকা তত বেশি সুখ এ ব্যাপারটি কাজ করে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন নিউ জার্সির প্রিন্সটোন বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সেন্টার ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং' এর গবেষক ডেনিয়েল কাহনেমান এবং এঙ্গাস ডেটন।

ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের সাময়িকীতে তারা লিখেছেন, "বেশি সুখের জন্য বেশি টাকার দরকার নেই। কিন্তু অর্থের স্বল্পতা মানসিক যন্ত্রণার কারণ।"

গবেষণায় দেখা গেছে, উপার্জন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুখের পরিমাণও বাড়ে। তাবে তা বার্র্ষিক ৭৫ হাজার ডলার পর্যন্ত।

অ্যাকশন গেমস দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে

-অ্যাকশন ভিডিও গেমস খেলোয়াড়রা বাস্তব জীবনে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম বলে বুধবার এক গবেষণার ফলাফলে জানা গেছে।

নিউ ইয়র্কের ইউনিভার্সিটি অব রচেস্টারের একদল গবেষক তাদের গবেষণায় দেখেছেন, নিজে নিজে বন্দুক চালানোর গেমগুলো (ফার্স্ট পারসন শ্যুটিং গেমস) সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং ইন্দ্রিয়গুলোকে দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষমতা বাড়ায়।

গবেষক ড্যাফনি বাভেলিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, এসব সুবিধা শুধু অ্যাকশন গেমগুলোতেই পাওয়া যায়। অ্যাকশন গেমস মানেই গোলাগুলির মধ্যে একটা গোলকধাঁধাঁর ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাওয়া, সেখানে কোন দিক দিয়ে শত্র" বেরিয়ে আসবে তা আগে থেকে জানা থাকে না।

তিনি বলেন, এটা ঠিক বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ানোর মতো ব্যাপার নয়। কৌশলপ্রধান গেমগুলো একই ধরনের প্রভাব ফেলে না।

এর আগে আরেক গবেষণায় টেক্সাসের এঅ্যান্ডএম ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেছিলেন, অ্যাকশন গেমগুলো কারও কারও মধ্যে সহিংস প্রবৃত্তি বাড়িয়ে দিতে পারে।

তবে এতে করে তাদের দৃষ্টি ও অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের দক্ষতা বাড়ে এবং ক্ষেত্রবিশেষে তাদের সামাজিক দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়।

প্রেমের নাম বেদনানাশক!

-ভালবাসা বা প্রণয় বেদনানাশকের মতো কাজ করে বলে মনে করেন মার্কিন গবেষকরা।

মস্তিষ্ক স্ক্যানের মাধ্যমে দেখা গেছে, যেসব জায়গা স্বাভাবিকভাবে ব্যথা অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত সেগুলো প্রণয়ঘটিত চিন্তার সময়ও সক্রিয় হয়ে ওঠে।

স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১৫ জন শিক্ষার্থীকে স্বল্পমাত্রার ব্যথা উদ্দীপক দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে, এ সময় তারা তাদের প্রেমিক-প্রেমিকার ছবি দেখতে অনাগ্রহী হয় কিনা।

পরীক্ষায়, ভালবাসার মানুষটির ছবি দেখার সময় তাদের হাতের তালুতে ব্যথার উদ্দীপক দেওয়া হয়। দেখা যায়, অন্য কোনো ছবি দেখার চেয়ে প্রিয়জনের ছবি দেখার সময় তারা কম ব্যথা অনুভব করে।

যেসব শিক্ষার্থী প্রেমের সম্পর্কে জাড়ানোর নয় মাস অতিক্রম করেছে তাদের মধ্য থেকেই ওই ১৫ জনকে বেছে নেয়া হয়। এই সময়টুকুকে 'গভীর ভালবাসার প্রথম ধাপ' হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

কুকুরের মধ্যেও রয়েছে আশা ও নৈরাশ্য!

আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে কুকুরও মানুষের মতো আশাবাদী ও নৈরাশ্যবাদী হতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন কথাই বলা হয়েছে।

গবেষকরা জানান, মালিক বাইরে থাকলে যে কুকুরেরা ঘরের আসবাবপত্র নষ্ট করে তা তাদের নৈরাশ্যবাদিতার কারণে হয়ে থাকে।

গবেষণাটিতে আরো দেখা গেছে, যখন অন্য কুকুরেরা প্রাণচঞ্চল তখন কিছু কুকুর স্বাভাবিকভাবেই অবসাদগ্রস্ত থাকে।

ব্রিস্ট্রল বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিহেভিওর' বিষয়ের প্রধান অধ্যাপক মাইক মেন্ডল গবেষণাটি করেছেন।

তিনি বলেন, "আমরা জানি মানুষের আবেগীয় অবস্থা তার বিচার ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে এবং সুখী মানুষেরা অস্থির পরিস্থিতিতেও ইতিবাচকভাবে বিচার করতে পারে।"

তিনি আরো বলেন, "কুকুরের মধ্যেও এ বিষয়টি রয়েছে বলে আমরা গবেষণায় দেখতে পেয়েছি।"

গবেষকরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েকটি কুকুরকে কক্ষের এক প্রান্তে খাবারভর্তি বাটি এবং অন্য প্রান্তে খালি বাটি রেখে পরীক্ষাটি করেছেন।

এতে দেখা যায়, আশাবাদী কুকুরেরা দ্রুত খাবারের দিকে দৌঁড়ে যায় আর নৈরাশ্যবাদীরা ধীর গতিতে খাবারে দিকে এগিয়ে যায়।

বেশি বয়সীরাই যৌনতায় বেশি আগ্রহী

যৌনতার প্রতি বেশি বয়সী পুরুষদেরই আগ্রহ থাকে বেশি। তবে সুযোগের অভাবে তাদের সে মনোবাসনা পূর্ণ হয় না।

অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

গবেষকরা বলেছেন, খুব বেশি বয়সী পুরুষরাই যৌনতার প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে শারীরিক অসুস্থতা ও সুযোগের অভাবেই তাদের সে ইচ্ছা অপূর্ণ রয়ে যায়।

গবেষকরা বলেন, ৭৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষের যৌন চাহিদার সঙ্গে 'পুরুষ' হরমোন টেস্টোস্টেরোন-এর সুস্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।

হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি বয়সী পুরুষদের জন্য সুবিধাজনক হবে কিনা তা দেখার জন্য চিকিৎসকদের আরো গবেষণা করা প্রয়োজন বলে জানান তারা।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক জো হিডে ও তার সহকর্মীরা ৭৫ থেকে ৯৫ বছরের ২৭ শ'র বেশি পুরুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ সিদ্ধান্তে এসেছেন।

'অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন' সাময়িকীতে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

গবেষণাকালে তারা ওই সব পুরুষদের কাছে স্বাস্থ্য, সম্পর্ক ও যৌনতা নিয়ে অনেক ধরনের প্রশ্ন করেন।

গবেষকরা প্রতিবেদনে লেখেন, "৯০ থেকে ৯৫ বছর বয়সী পুরুষদের প্রতি পাঁচ জনে একজনের কাছে যৌনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

"তাদের মধ্যে যারা যৌনতায় সক্রিয় তাদের ৪০ শতাংশেরও বেশি পুরুষ যৌন সম্পর্কের চর্চা নিয়ে অসন্তুষ্ট। তারা আরো বেশি বেশি তা করতে চায়।"

গত বছর যে কোনো ধরনের যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলো বলে ৩০ শতাংশেরও বেশি পুরুষ জানালেও ৪৮ শতাংশের বেশি জানায়, যৌনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তীব্র ইচ্ছা থাকলেও সুযোগের অভাবে তা করতে পারনেনি বলে জানান তারা।

মায়েরা যেমন সন্তান চান

'মায়েরা কেমন সন্তান চান' এ বিষয়ে এশিয়ার কয়েকটি দেশের পাঁচটি শহরে সম্প্রতি এক জরিপ পরিচালনা করে জাপানের এক শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান।

জরিপের জন্য বেছে নেওয়া হয়, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের পাঁচটি বড় শহর বেইজিং, সাংহাই, টোকিও, সিউল ও তাইপে। এতে সন্তানের আচার-আচরণ ও বেড়ে ওঠা নিয়ে মায়েদের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে।

বেনেসি হোল্ডিংস পরিচালিত ওই জরিপে দেখা যায়, টোকিওর মায়েরা চান তাদের সন্তান ধনী বন্ধুদের সঙ্গে মিশবে এবং ও অন্যদের বিরক্তির কারণ হবে না, আর বেইজিংয়ের মায়েরা চান সন্তানের্রার্ কমক্ষেত্রে তাদের প্রতিভার ঝলক দেখাক। এক্ষেত্রে সিউলের মায়েরা সন্তানের কাছে নেতৃত্বগুণ আশা করেন।

সাধারণত টোকিওর মায়েরা সন্তানদের মানবিক গুণাবলী বিকাশে জোর দেয়, যেখানে অন্য মায়েরা সন্তানের কাছে সাফল্য প্রত্যাশা করে।

তবে সব শহরের মায়েরাই তাদের প্রধান আকাঙ্ক্ষা হিসেবে সন্তানদের সংসারী দেখতে চেয়েছেন।

অবশ্য তাদের পরবর্তী দুটি আকাঙ্ক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভিন্নতা ছিল।

চীনা মায়েরা জানান, তারা চান তাদের সন্তানেরা কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা দেখাবে ও অন্যরা তাদের শ্রদ্ধা করবে, আর এক্ষেত্রে তাইপের মায়েরা সহকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম এমন কর্মদক্ষ সন্তান চান।

সিউলের মায়েরা চান সন্তানেরা নেতৃত্ব দেবে ও টাকা উপার্জন করবে।

চীনা মায়েদের মধ্যে সাংহাইয়ের প্রায় সত্তর শতাংশ ও বেইজিংয়ের বাষট্টি শতাংশ চান তাদের সন্তানেরা কোন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করুক।

ব্যক্তির সামাজিকতা মস্তিষ্কের গঠনের ওপর নির্ভরশীল

মস্তিষ্কের গঠন ব্যক্তির সামাজিকতা নির্ধারণ করে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত এক গবেষণায় একথা বলা হয়েছে।

৫৮ জন স্বেচ্ছাসেবীর মস্তিষ্ক স্ক্যান করে পরিচালিত এক প্রাথমিক গবেষণায় এই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

যেসব মানুষ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় অনেক সময় ব্যয় করে তাদের এ আড্ডার পেছনে কাজ করে মস্তিষ্কেরই একটি অংশ।

মস্তিষ্কের এ অংশটির নাম এ্যামিগডালা। এটি মস্তিষ্কের ভিতরের দিকের একটি অংশ।

সচরাচর এ্যামিগডালা অংশটির আয়তন যা হয়, মিশুক মানুষের মস্তিষ্কের এ্যামিগডালা অংশটি তার চেয়ে বড় হয়। আর এটাই তার আড্ডাবাজ চরিত্রের কারণ বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার 'ন্যাচার নিউরোসায়েন্স' নামের এক অনলাইন জার্নালে গবেষণার এ ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, স্বেচ্ছাসেবীর এ্যামিগডালা যত বড় সে তত বেশী নিয়মিতভাবে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছে।

মস্তিষ্কের সামাজিক কর্মকান্ড নির্ধারক নেটওয়ার্কের কেন্দ্রে এ্যামিগডালার অবস্থান। তাই এটি সামাজিকতার বিষয়টি নির্ধারণ করে। জানিয়েছেন গবেষকদলের সদস্য লিসা ফেল্ডমান ব্যারেট।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মস্তিষ্কের এই নেটওয়ার্কই আমাদের বুঝতে সাহায্য করে কোন মানুষটি আমাদের পরিচিত আর কে অপরিচিত, কে বন্ধু আর কে শত্র"; জানিয়েছেন, বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির লিসা ফেল্ডমান ব্যারেট।

কিন্তু বড় এ্যামিগডালাই কি আমাদের বন্ধুবৎসল করে তোলে নাকি বন্ধুবাৎসল্যই মস্তিষ্কের এ্যামিগডালাকে বড় করে তোলে?

গবেষণায় এই বিষয়টি নির্ধারণ করা যায়নি। তবে ব্যারেটের ধারণা, এতে হয়তো উভয়েরই কিছু ভূমিকা আছে। বড় এ্যামিগডালা যেমন আমাদের বন্ধুবৎসল করে তোলে তেমনি বন্ধুবাৎসল্যও হয়তো এ্যামিগডালাকে বড় হতে সহয়তা করে।

মানুষের মস্তিষ্কের ডান অর্ধাংশে একটি ও বাম অর্ধাংশে আরেকটি এ্যামিগডালা আছে। গবেষণার ফল এই দুই অংশের জন্যই সত্য বলে জানা গেছে।

তিনি জানান, এখন পরবর্তী গবেষণার মাধ্যমে এ গবেষণার ফল যাচাই হওয়া দরকার।

কোন তাৎক্ষণিক লাভের জন্য নয় বরং মৌলিক জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে এই গবেষণা পরিচালিত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এ গবেষণা পরিচালনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার সহয়তা করেছে।

ব্যারেট আশা প্রকাশ করেন, এই গবেষণা হয়তো একদিন মানুষকে স্বতঃস্ফুর্ত সামাজিক জীবন উপভোগ করতে সহায়তা করবে।

লসএঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির মস্তিষ্ক-মানচিত্রায়ণ বিশেষজ্ঞ আর্থার টোগা এই গবেষণাকে ভাল কাজের স্বীকৃতি দিয়ে বলেন এর পরিসংখ্যানগত ফলাফল শক্তিশালী।

তিনি আরো বলেন, মানুষের আচরণের সঙ্গে মস্তিষ্ক গঠনের সম্পর্ক নির্ণয়ের প্রচেষ্টা আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

এ মাসের প্রথমদিকে এ্যামিগডালার গবেষণা মার্কিন সংবাপত্রের শিরোনাম হয়, যখন গবেষকেরা এমন এক নারীর কথা প্রকাশ করেন যার মস্তিষ্কের এ্যামিগডালা অকার্যকর। ভয়ার্ত পরিবেশেও মহিলাটির কোন ভাবান্তর হয় না।

শারীরিক সম্পর্কে বাধা নারীর কান্না

নারীর কান্না শারীরিক সম্পর্কে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষকে নিরুৎসাহিত করে।

ইসরায়েলের গবেষকদের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

'অশ্র" নারী ও পুরুষের মধ্যে অহিংস যোগাযোগ সৃষ্টি করে' এ বিষয়টির ওপর গবেষণা করেন তেল আবিব সংলগ্ন ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড ওলফসন হাসপাতালের বিজ্ঞানীরা।

তাদের গবেষণায় বলা হয়েছে, নারীর কান্না দেখে পুরুষের টেস্টোস্টেরোন নিঃসরণের মাত্রা কমে যায়।

তাদের এ গবেষণার ফল একদিন ক্যান্সার চিকিৎসায় কাজে লাগবে বলে প্রত্যাশা করেন গবেষকরা।

ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নোয়াম সোবেল বলেন, "অনেক ধরনের অসুস্থতা বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসা হয় টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা কমিয়ে।"

তিনি জানান, টেস্টোস্টেরোন কমানোর বর্তমান পদ্ধতিতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং অশ্র"পাতের ব্যবহারে চিকিৎসায় সমস্যাগুলো দূর হবে বলে গবেষক দল মনে করেন।

ভিডিও গেমস মানসিক সমস্যা বাড়ায়?

সকাল থেকে ভিডিও গেমস খেলায়রত শিশুটির স্বচ্ছ চোখের পেছনে হয়তো সমস্যা পাকিয়ে উঠছে যা পরিবারের কেউ খেয়াল করছে না। সবার অজান্তে শিশুটি হয়তো মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ আর সামাজিক ভীতির গভীরে তলিয়ে যাচ্ছে।

ভিডিও গেমস খেলায় দীর্ঘ সময় ব্যয় করা শিশুরা এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে হয়তো স্কুলের পড়াশোনায়ও পিছিয়ে পড়ছে।

৩ হাজার শিশুর ওপর ২ বছর গবেষণা করে এমন তথ্যই পেয়েছেন সিঙ্গাপুরের কয়েকজন গবেষক।

তারা দেখেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ভিডিও গেম খেলায় মেতে থাকা প্রতি দশজন শিশুর একজন খেলাটিতে "আসক্ত" হয়ে পড়ে, আর অন্যদের বেশীরভাগই মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়।

এ ধরনের শিশুরা আচরণগত সমস্যা নিয়ে বেড়ে ওঠে আর অতিরিক্ত আসক্তরা আচরণগত সমস্যাসহ বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়।

গবেষকদের একজন আইওয়া স্টেট ইউনিভার্র্সিটির 'মিডিয়া রিসার্চ ল্যাব' এর পরিচালক ডগলাস এ জেন্টাইল এমনটাই জানিয়েছেন।

"যখন তারা আসক্তি কাটিয়ে উঠতে থাকে তাদের হতাশা, উদ্বেগ ও সামাজিক ভীতিও কমে যেতে থাকে" জানান জেন্টাইল।

তিনি বলেন, বাবা-মায়েরা কিংবা স্বাস্থ্য কর্মীরা কেউই মানসিক স্বাস্থ্যে ভিডিও গেমসের প্রভাব নিয়ে সচেতন নয়।

"আমরা ভিডিও গেমকে শুধুমাত্র বিনোদন হিসেবে দেখি অথবা শুধু খেলা বলে ভাবি আর ভুলে যাই বিনোদনও আমাদের আক্রান্ত করতে পারে।

রয়টার্স হেলথকে এক ই-মেইলের মাধ্যমে জানান জেন্টাইল।

তবে গবেষণার এ ফলাফলের সমালোচনা করে যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির 'ইন্টারন্যাশনাল গেমিং রিসার্চ ইউনিট' এর পরিচালক বলেন, এ গবেষণা ত্র"টিমুক্ত নয়।

তিনি বলেন, "যদি সত্যিই ১০ শতাংশ শিশু ভিডিও গেমসে আসক্ত হত তাহলে প্রতিটি বড় শহরেই ভিডিও গেমস আসক্তদের জন্য ক্লিনিক খোলা হয়ে যেত।"

তিনি বলেন এই 'ভিডিও গেমসে আসক্তি ও মানসিক অসুস্থতা' ধারণাটি মনোচিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীদের কাছে এখনও গ্রহণযোগ্য গবেষণা নয়।

আনন্দে থাকুন, দীর্ঘজীবী হোন

- ইতিবাচক মানসিকতা পোষণ ও আনন্দে থাকলে দীর্ঘায়ু হওয়া যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। শুধু মানুষ নয়, অন্যান্য প্রাণীদের জন্যও এ কথা প্রযোজ্য বলে দাবি করছেন তারা।

১৬০টির বেশি গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার 'অ্যাপ্লাইড সাইকোলজি : হেলথ অ্যান্ড ওয়েল-বিইং' জার্নাল এ তথ্য প্রকাশ করে।

গবেষণাটিতে আটটি ভিন্ন ধরনের ১৬০টিরও বেশি গবেষণা ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা হয়। এগুলোতে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের ওপর দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা চালানো হয়।

এতে দেখা গেছে, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হলে ও আনন্দে সময় কাটালে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং দীর্ঘায়ু হওয়া যায়। এমনকি অতিরিক্ত স্থূলতার কারণে আয়ু কমে যাওয়ার সম্ভাবনার চেয়েও এর সম্ভাবনা বেশি।

গবেষণাটিতে নেতৃত্বদানকারী ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েসের প্রফেসর এমিরেটাস এড ডাইনার বলেন, বিভিন্ন সময়ে করা গবেষণাগুলোর ফলাফলের ধারাবাহিকতা দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছি। দু'একটি ছাড়া বেশিরভাগ গবেষণার ফলাফলই বলে দেয়, আনন্দে থাকার সঙ্গে দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের সম্পর্ক গভীর।

গবেষণাগুলোতে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। এর ফলাফলে দেখা যায়, নেতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা কম বয়সে মারা গেছেন।

গবেষণাগারেও দেখা গেছে, ইতিবাচক মনোভাব শরীরের হরমোন নিঃসরণে তারতম্য ঘটায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ থেকেও রক্ষা করে।

বিভিন্ন প্রাণীর উপর গবেষণায় দেখা যায়, যেসব প্রাণী খাঁচা বা অন্য কোনো আবদ্ধ জায়গায়, নিরানন্দ পরিবেশে থাকে তারা খোলা জায়গায় থাকা প্রাণীদের চেয়ে কম বাঁচে।

কেনাকাটায় আয়ু বাড়ে!

- দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে বের করতে মানুষের চেষ্টার কোনো শেষ নেই। দীর্ঘায়ু লাভের পেছনে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ, নিরুদ্বিগ্ন জীবন-যাপন, ব্যায়াম ইত্যাদি প্রক্রিয়ার কথা আমরা এতোদিন জেনেছি।

ভিডিও গেমস খেললে খাবার বেশি খাওয়া হয়'

দিনের অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভিডিও গেমস খেলার পর কিশোর বয়েসীরা বেশি খাবার গ্রহণ করে বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে।

কিশোর বয়সী ২২ জনের ওপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, খাওয়ার আগে ঘণ্টাখানেক বিশ্রামে থাকার চেয়ে ভিডিও গেমস খেললে তারা বেশি খাবার খেতে পারে।

তবে অতিরিক্ত এই খাবারের শক্তি তারা গেমস খেলে বা দিনের অন্য সময় কম খেয়ে ব্যয় করে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিডিও গেমস খেলার পর বেশি খাবার গ্রহণের কোনো কারণ যায়নি।

তবে টেলিভিশন বা কম্পিউটারের পর্দার সামনে থাকা মানুষের মুটিয়ে যাওয়ার সঙ্গে এর মিল রয়েছে।

গবেষক দলের প্রধান জ্যঁ ফিলিপ চাপুট বলেন, ভিডিও গেমস খেলায় ক্ষুধা বাড়ে বা ক্ষুধা বাড়ার হরমোন প্রভাবিত হয়- এমনটি পাওয়া যায়নি।

তিনি মনে করেন, গেমস খেলায় মানসিক চাপ বাড়ে এবং বেশি খাবার মস্তিষ্ককে শান্ত করে বলে এমনটি হতে পারে।

তিনি বলেন, গেমস খেলার পর সাধারণত মিষ্টি ও চর্বি জাতীয় খাবারই বেশি খেতে ইচ্ছে করে।

'অন্যনারীকে মুগ্ধ করতেই নারীর সাজগোজ'

পুরুষসঙ্গীকে খুশী করতে নারীরা আয়নার সামনে বেশি সময় কাটায় বলে প্রচলিত ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষসঙ্গী নয় অন্যনারীর কাছ থেকে বাহবা পাওয়ার উদ্দেশ্যেই নারীরা সাজগোজ করে থাকে।

২ হাজার নারীর ওপর পরিচালিত সিম্পল স্কিন কেয়ারের গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।

এতে দেখা যায়, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই অন্য নারীর কাছ থেকে প্রশংসাসূচক মন্তব্য পাওয়ার জন্য পোশাক নির্বাচন করে। অপরদিকে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন পোশাক নির্বাচন করে তাদের বান্ধবীদের কথা মাথায় রেখে।

এক চতুর্থাংশেরও বেশি অংশগ্রহণকারী জানিয়েছে, তারা পুরুষ নয় বরং অপরিচিত নারীদের কাছ থেকেই বেশি মন্তব্য পেয়ে থাকে।

সিম্পল স্কিন কেয়ারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে দ্য ডেইলি মেইল বলেছে, "প্রচলিত একটি ধারণা রয়েছে যে, বিপরীতলিঙ্গের সঙ্গীকে খুশী করতেই নারীরা সব কিছু করে থাকে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে এটা সবসময় ঠিক নয়।"

গবেষণায় অংশগ্রহণকারী নারীদের ২২ শতাংশ দাবি করেন, পুরুষরা কেমন মন্তব্য করল তা তারা মোটেও পরোয়া করেন না। আর ৪৮ শতাংশ নারী জানান, তারা মূলত অপরিচিত নারীদের কাছ থেকে প্রশংসা পেতেই বেশি পছন্দ করেন।

চিরদিন কে বাঁচতে চায়?

বিজ্ঞানী অব্রে ডি গ্রে'র পূর্বানুমান সত্য হলে, ১৫০তম জন্মদিন দেখার সৌভাগ্য যার হবে তার জন্ম ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। আর ১ হাজার বছর বাঁচার প্রথম রেকর্ড যে গড়বে তার বয়স হতে পারে ২০ বছরের কম।

অব্রে ডি গ্রে একজন বায়োমেডিক্যাল জেরোন্টোলজিস্ট। মানুষের আয়ু নিয়ে গবেষণায় নিবেদিতপ্রাণ 'সেনস ফাউন্ডেশন' এর প্রধান বিজ্ঞানী তিনি।

গ্রে'র বিশ্বাস, বয়স বাড়ানো ঠেকাতে চিকিৎসকরা তার জীবদ্দশায়ই প্রয়োজনীয় সব রকমের উপায় পেয়ে যাবে।

বার্ধ্যক্যের সঙ্গে সঙ্গে যে রোগবালাইগুলো দেখা দেয় সেগুলো থেকে পুরোপুরি মুক্তির উপায় এবং যতদিন ইচ্ছা বাঁচার পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।

বিট্রেনের 'রয়েল ইন্সটিটিউশন একাডেমি অব সয়েন্স' এ একটি বক্তৃতা দেওয়ার আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আগামী ২৫ বছর বা এ সময়কালের মধ্যেই মানুষের বয়স চূড়ান্তভাবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার সম্ভাবনা শতকরা ৫০/৫০ ভাগ।"

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে গ্রে বলেন, আজকাল অনেক সংক্রামক রোগ যেভাবে চিকিৎসা করে সারানো সম্ভব হচ্ছে, মানুষের বার্ধক্যও এভাবে চিকিৎসার মধ্য দিয়ে এড়ানো সম্ভব হবে।

বর্তমানে অনেক মানুষই নিয়মিত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যায়।

ভবিষ্যতে এ চিকিৎসার আরো প্রসার ঘটে জিন থেরাপি, স্টেম সেল থেরাপি, ইমিউন স্টিমুলেশনসহ আরো নানা ধরনের অত্যাধুনিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে যাতে করে দেহসৌষ্ঠব ধরে রাখা যাবে।

ডি গ্রে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক 'সেনস ফাউন্ডেশন' এর প্রধান এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ২০০৯ সালে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন।

বার্ধক্য সম্পর্কে তিনি বলেন, জীবনভর সারা দেহে বিভিন্ন ধরণের কোষ ও আণবিক ক্ষয়-ক্ষতির কারণে মানুষ বুড়িয়ে যেতে থাকে।

এই ক্ষয়ক্ষতিগুলো মারাত্মক পর্যায়ে চলে যাওয়ার আগেই তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। আর তা থেকেই পূরণ হতে পারে বেশিদিন বাঁচার আশা।

তার মতে, "দেহে কোষের ক্ষয়সহ অন্যান্য ক্ষয়-ক্ষতি নির্দিষ্ট সময় পরপর সারানো যেতে পারে যাতে তা এমন পর্যায়ে না পৌঁছায় যা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এভাবেই বাড়তে পারে মানুষের আয়ু।"

রক্তের দোষ?

অসহিষ্ণু আচরণের জন্য রক্তর দোষ দিলেন জাপানের সাবেক পুনর্গঠনমন্ত্রী রাইয়ু মাতসুমোতো।

মার্চের ভূমিকম্প ও সুনামি বিধ্বস্ত মিয়াগি জেলার গভর্নরের উদ্দেশ্যে অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সম্প্রতি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মাতসুমতো।

এ ঘটনার পর ওই আচরণের অভিনব ব্যাখ্যা দিয়ে মাতসুমতো বলেন, এজন্য তার রক্তের গ্রুপই দায়ী।
"আমার রক্তের গ্রুপ 'বি'। এর মানে হচ্ছে আমি উত্তেজিত হয়ে যেতে পারি এবং খেয়ালি স্বভাবের। আমার আচার-আচরণ নির্দিষ্ট কোন ধারায় পড়ে না," বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, "আমার স্ত্রী শুরুতেই আমাকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে বলেছিলো। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত।"

মাত্র এক সপ্তাহ দায়িত্ব পালন করেই পদত্যাগ করতে হয় মাতসুমোতোকে।

গত রোববার জাপানের ভূমিকম্প ও সুনামি বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে মাতসুমোতো মিয়াগি জেলার গভর্নরকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার র্কর্তৃপক্ষ এলাকা পুনর্গঠনের ভাল পস্তাব পেশ না করলে সরকার তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করবে না।

তার এ মন্তব্যের পরই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো পুনর্গঠনমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়।
এ পরিস্থিতিতে ৫ জুলাই টোকিওয় নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মাতসুমোতো।

যৌনতা কেনা পুরুষরা বেশি অপরাধপ্রবণ

যৌনতার পেছনে যেসব পুরুষ অর্থ ব্যয় করে তারা বেশি অপরাধপ্রবণ। অন্যরা, যারা যৌনতা কেনে না তাদের চেয়ে এইসব পুরুষরা নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২ জনের ওপর পরিচালিত এ গবেষণার ফল চলতি সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়েছে।

'প্রস্টিটিউশন রিসার্চ এন্ড এডুকেশন' গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ও যৌন ব্যবসা-বিরোধী কর্মী মেলিসা ফারলি।

গবেষণায় স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অর্থ দিয়ে যৌনতা কেনে এবং যারা যৌনতা কেনে না তাদের বয়স, শিক্ষা, জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে জোড়ায় জোড়ায় ভাগ করা হয়। এরপর নারী সম্পর্কে তাদের অভিমতের তুলনা করা হয়।

অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেক যৌনতার পেছনে অর্থ ব্যয় করে। আর বাকী অর্ধেক করে না।

এতে দেখা গেছে, যৌনতার পেছনে অর্থ ব্যয়কারী পুরুষরা নারীর প্রতি সহিংসতা, খারাপ আচরণ, নেশা জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার, সহিংস আক্রমণ, অস্ত্রের ব্যবহারসহ নানা ধরনের অপরাধ বেশি করে।

এছাড়া, নারীদের প্রতি আচরণ এবং অভিমতের ক্ষেত্রেও দুই গ্রুপের পুরুষের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে।

দেখা গেছে, পতিতাদের প্রতি যৌনতা কেনা পুরুষদের সহানুভূতি যৌনতা না কেনা পুরুষদের চেয়ে অনেক কম।

আর নারীর প্রতি অভিমতের ক্ষেত্রে যৌনতা না কেনা পুরুষরা মনে করে, নারীদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে, ছলচাতুরি করে কিংবা পাচার করে পতিতাবৃত্তিতে নামানো হয়।

অন্যদিকে, যৌনতা কেনা পুরুষরা মনে করে, পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত নারীরা আদতেই ভালো মেয়ে নয়।

তরুণদের ডেটিং প্রবণতায় বিয়ের প্রতি আগ্রহ কমছে

একসঙ্গে বাস না করে প্রতিশ্র"ত সম্পর্ক উপভোগ করার সুযোগ পাওয়ায় তরুণদের মধ্যে বিয়ের প্রবণতা কমছে।

মিসৌরি-কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ের বিকল্প হিসেবে তারা পুরোপুরি দাম্পত্য জুটির মত সপ্তাহে তিন বা তারো বেশি রাত একসঙ্গে কাটায়।

'ওজন বাড়লে সঙ্গিনীকে ছেড়ে দেবে অর্ধেক পুরুষ'

নারীর চেয়ে পুরুষেরা তাদের সঙ্গিনীর শারীরিক গড়ন নিয়ে বেশি ভাবে।

প্রকাশিত এক নতুন জরিপ থেকে এ কথা জানা যায়।

জরিপে ৭০ হাজার মানুষের কাছে প্রশ্ন রাখা হলে এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক পুরুষই জানিয়েছে, ওজন বাড়লে তারা তাদের সঙ্গিনীকে ছেড়ে দেবে।

অন্যদিকে মাত্র ২০ ভাগ নারী এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে।

সঙ্গিনীর বান্ধবীকে নিয়ে আনন্দজনক স্বপ্ন দেখে বলেও জানিয়েছে দুই-তৃতীয়াংশ পুরুষ। অন্যদিকে এক-তৃতীয়াংশ নারী এ ধরনের স্বপ্ন দেখে থাকে।

আস্কম্যানের এডিটর-ইন-চিফ জেমস বাসিল কসমোপলিটন ডটকমের সাথে যৌথ উদ্যোগে জরিপটি পরিচালনা করেছেন।

এছাড়া গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ৫০ ভাগ পুরুষ তাদের কতজন যৌনসঙ্গী ছিল এ ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলে। অন্যদিকে ৩৫ ভাগ নারী এ ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে।

মিথ্যাবাদীকে ধরার অভিনব পন্থা

কথা বলার সময় মুখমন্ডল দেখেই মিথ্যাবাদীকে চিহ্নিত করা যাবে এমন এক নতুন অত্যাধুনিক ক্যামেরা পদ্ধতি বের করেছেন গবেষকরা।

কম্পিউটারের সাহায্যে এ পদ্ধতিতে কাজ করার সময় দরকার পড়বে একটি সাধারণ ভিডিও ক্যামেরা, হাই রেজ্যুলেশন থার্মাল ইমেজিং সেন্সর এবং একটি আলগরিদম স্যুট।

নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পদ্ধতিটি অত্যন্ত সহায়ক হবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ব্রাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হাসান উগাইল।

তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রেই সত্য ও মিথ্যা নির্ণয়ে সফল হওয়া সম্ভব।

'ইউকে বর্ডার এজেন্সি' সহযোগে ব্রাডফোর্ড ও আবেরিস্টউইথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল যৌথভাবে এই পদ্ধতি উদ্ধাবন করেছে। ব্রাডফোর্ডে ব্রিটিশ বিজ্ঞান উৎসবে এ পদ্ধতির কথা জানান তারা।

কথা বলার সময় আমাদের অজান্তে কিভাবে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে তা নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণার পরই বের হয়েছে নতুন এ পদ্ধতি।

দেখা গেছে, আমরা হয়তো চোখ পিটপিট করি, ঠোঁট কামড়াই কিংবা দুই ঠোট চেপে ধরি, নাক বাঁকা করি, জোরে জোরে শ্বাস নেই, ঢোক গিলি বা এরকম আরো অনেক কিছুই করি। এ অসঙ্গতিগুলোই ধরা পড়বে ক্যামেরায়।

আর থারমাল সেন্সরে ধরা পড়বে মানুষের রক্ত ধমনীর পরিবর্তনও। মিথ্যা নির্ণয়ের নতুন পদ্ধতিতে চোখের রক্তধমনীর পরিবর্তন ধরা পড়বে থারমাল সেন্সরে ।

পুরোনো মিথ্যা নির্ণয়ক পদ্ধতির চেয়ে এ পদ্ধতি অনেকখানি আলাদা। ১৯২১ সালে প্রথম মিথ্যা নির্ণয়ক যন্ত্র উদ্ধাবন করেন গবেষকরা। ওই পদ্ধতিতে চামড়ায় তার লাগিয়ে মিথ্যা ধরার চেষ্টা করা হয়ে আসছে।

কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে তার দরকার পড়বে না। বরং সত্যের পরীক্ষা হয়ে যাবে অনেকটা গোপনেই।

নারীরা সৌন্দর্য আর পুরুষেরা যৌনজীবন হারানোর শঙ্কায় ভোগে

বয়সের সাথে সাথে সৌন্দর্য হারানোর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন থাকে নারীরা আর পুরুষের ভয় যৌন জীবন ও সম্পর্ক হারানোয়।

নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়।

এ গবেষণার জন্য চল্লিশোর্ধ ১ হাজার ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশ নারীর কাছে বৃদ্ধ বয়সে তাদের কেমন দেখাবে তা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে মাত্র ২১ শতাংশ পুরুষ এ নিয়ে ভাবে।

আর শতকরা ৩২ ভাগ পুরুষ ও ১২ ভাগ নারী বৃদ্ধ বয়সে তাদের যৌন জীবন কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তা করে।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন, সমাজবিজ্ঞানী ড. ক্যাটে ওডথ্রপ। তিনি যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সেন্টার ফর ডেথ অ্যান্ড সোসাইটি'র একজন গবেষক।

ধূমপায়ীরা প্রেমে অদক্ষ'

ধূমপায়ীরা প্রেমের সময় দক্ষ বা সামর্থ্যবান হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন না। কেননা এই নেতিবাচক অভ্যাসের কারণে ব্যক্তির প্রজনন বা যৌনসক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। তবে যারা সাফল্যের সাথে ধূমপানের অভ্যাসটি ত্যাগ করতে পেরেছেন তারা তাদের সক্ষমতা ফিরে পেতে পারেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ ইউরোলজি ইন্টারন্যাশনাল সাময়িকীতে প্রকাশিত মার্কিন গবেষকদের এক গবেষণার ফলাফলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব ধূমপায়ী মনে করেন তাদের যৌনস্বাস্থ্য খুব ভালো অবস্থায় আছে তাদের অজান্তেই হয়তো তাদের যৌন সক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করেছে।

যারা সফলভাবে ধূমপান ছেড়ে দিতে পেরেছেন তাদের যৌনস্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, গবেষণাগারে পরীক্ষায় এটি প্রমাণিত হয়েছে। তবে যারা ধূমপান ছেড়ে দিয়েও আবার পুরানো অভ্যাসে ফিরে গেছেন তাদের কোন আশা নেই।

ভিএ বস্টন হেলথ কেয়ার সিস্টেমের ক্রিস্টোফার হার্থি ও টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডি মেস্টন ৬৫ জন ব্যক্তিকে নিয়ে যৌনস্বাস্থ্যের ওপর ধূমপানের প্রভাব বিষয়ে গবেষণাটি পরিচালনা করেন। গবেষণার আওতায় থাকা ৬৫ জনই ধূমপায়ী। তাদের নিয়ে আট সপ্তাহের একটি ধূমপান ত্যাগের কর্মসূচির আয়োজন করেন গবেষকরা।

এদের মধ্যে ২০জন কমপক্ষে এক সপ্তাহ ধূমপান থেকে বিরত থাকে। বাকি ৪৫ জন ধূমপান চালিয়ে যান।

যারা ধূমপান থেকে বিরত ছিলেন তারা লক্ষ্য করেন তাদের যৌনসক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে। আর যারা ধূমপান ছাড়েন নি তাদের এ ধরনের কোনো অভিজ্ঞতা হয় নি।

পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোয় দেখা যায়, অধূমপায়ী যৌনক্ষমতাহীন পুরুষের তুলনায় ধূমপায়ী যৌনক্ষমতাহীন পুরুষের সংখ্যা দ্বিগুন। ধূমপানের ফলে সৃষ্ট ক্যান্সার ও হৃদরোগের কারণেও যৌনসক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

কাছের বন্ধু হয় খুব কমই

- সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর বিপুল জনপ্রিয়তার পরও বেশিরভাগ মানুষেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয় খুব কম। বড়োরা বেশিরভাগই তাদের কাছের বন্ধু বলে বিবেচনা করে মাত্র দুই জনকে।

নতুন এক গবেষণায় এমনটিই দেখা গেছে। ২ হাজার জনের ওপর এ গবেষণা চালিয়েছেন নিউইয়র্কের করনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ম্যাথু ব্রাশিয়ারস। এর ফল প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের “দ্য টেলিগ্রাফ”।

গত ছয় মাসে “গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা” হয়েছে এমন কয়েকজনের নাম উল্লেখ করতে বলা হয় গবষণায় অংশগ্রহণকারীদেরকে।

এতে দেখা গেছে, ২৯ শতাংশ উত্তরদাতা দুই জনের বেশি, ১৮ শতাংশ দুই জন এবং ৪৮ শতাংশ মাত্র একজনের নাম উল্লেখ করেছে।

এছাড়া, ৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, তারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে কারো সঙ্গে কথা বলেনি।

সব মিলিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর গড় সংখ্যা হয়েছে ২ দশমিক ০৩। এতে আরো দেখা গেছে, নারী ও উচ্চ শিক্ষিতদের বন্ধুর সংখ্যা সবচেয়ে কম।

গবেষণায় লক্ষ্যণীয় আরেকটি দিক বেরিয়ে এসেছে। আর তা হলো, সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর জনপ্রিয় প্রসারের পরও মানুষের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সংখ্যা আগের তুলনায় কমে যাচ্ছে।

২৫ বছর আগে ঠিক একই ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো তিনজন। কিন্তু এখন আর তা দেখা যাচ্ছে না।

আধুনিক এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে যেখানে অনেকেই দিনের কয়েক ঘন্টা সামজিক যোগাযোগ সাইট দেখে কাটায়, সেখানে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সংখ্যা কমে যাওয়া সত্যিই বিস্ময়কর।

ফেইসবুক ও টুইটারের মত সাইট ব্যহারকারীদের অনেকেরই শত শত “ফ্রেন্ড” ও “ফলোয়ার” আছে।

ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ফেইসবুক বন্ধুর গড় সংখ্যা ১৩০ জন। এমনকি অনলাইনে অনেকের হাজার হাজার বন্ধুও আছে।

কাছের বন্ধু হয় খুব কমই

- সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর বিপুল জনপ্রিয়তার পরও বেশিরভাগ মানুষেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয় খুব কম। বড়োরা বেশিরভাগই তাদের কাছের বন্ধু বলে বিবেচনা করে মাত্র দুই জনকে।

নতুন এক গবেষণায় এমনটিই দেখা গেছে। ২ হাজার জনের ওপর এ গবেষণা চালিয়েছেন নিউইয়র্কের করনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ম্যাথু ব্রাশিয়ারস। এর ফল প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের “দ্য টেলিগ্রাফ”।

গত ছয় মাসে “গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা” হয়েছে এমন কয়েকজনের নাম উল্লেখ করতে বলা হয় গবষণায় অংশগ্রহণকারীদেরকে।

এতে দেখা গেছে, ২৯ শতাংশ উত্তরদাতা দুই জনের বেশি, ১৮ শতাংশ দুই জন এবং ৪৮ শতাংশ মাত্র একজনের নাম উল্লেখ করেছে।

এছাড়া, ৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, তারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে কারো সঙ্গে কথা বলেনি।

সব মিলিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর গড় সংখ্যা হয়েছে ২ দশমিক ০৩। এতে আরো দেখা গেছে, নারী ও উচ্চ শিক্ষিতদের বন্ধুর সংখ্যা সবচেয়ে কম।

গবেষণায় লক্ষ্যণীয় আরেকটি দিক বেরিয়ে এসেছে। আর তা হলো, সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর জনপ্রিয় প্রসারের পরও মানুষের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সংখ্যা আগের তুলনায় কমে যাচ্ছে।

২৫ বছর আগে ঠিক একই ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো তিনজন। কিন্তু এখন আর তা দেখা যাচ্ছে না।

আধুনিক এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে যেখানে অনেকেই দিনের কয়েক ঘন্টা সামজিক যোগাযোগ সাইট দেখে কাটায়, সেখানে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সংখ্যা কমে যাওয়া সত্যিই বিস্ময়কর।

ফেইসবুক ও টুইটারের মত সাইট ব্যহারকারীদের অনেকেরই শত শত “ফ্রেন্ড” ও “ফলোয়ার” আছে।

ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ফেইসবুক বন্ধুর গড় সংখ্যা ১৩০ জন। এমনকি অনলাইনে অনেকের হাজার হাজার বন্ধুও আছে।

মেয়েরা দিনে ৫ ঘণ্টা গালগল্প করে কাটায়

যে কোন পুরুষের পক্ষেই এ কথা বলা কঠিন যে তার স্ত্রী বা প্রেমিকা কতক্ষণ কথা বলেন। এ প্রশ্নেরই সুরাহা করেছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। তাদের মতে, মেয়েরা প্রতিদিন গড়ে ৫ ঘন্টা গল্পগুজব করে বা বকবক করে কাটায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েরা বাসায় বা অফিসে যেখানেই থাকুক দিনে তারা প্রায় ২৯৮ মিনিট খোশগল্প করে- যা তাদের কর্মঘন্টার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।

গবেষণার ফল নিয়ে ‘দ্য ডেইলি মেইল’ এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোশগল্পে মেয়েরা সাধারণত পরচর্চা, পরনিন্দাই বেশি করে।

একজনের সঙ্গে আরেকজনের ডেটিং এবং অন্যের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তারা কথা বলে। এছাড়াও মেয়েরা গল্প করে যৌনতা, কেনাকাটা ও টিভি সিরিয়ালগুলো নিয়ে।

ওজন, খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক সংক্রান্ত আলোচনায় মেয়েরা দিনে সময় ব্যয় করে ২৪ মিনিট।

জরিপে এক-তৃতীয়াংশ নারী বলেছেন, দিনের একটা সময় দুপুরে তারা কী খাবেন এ নিয়ে কথা বলে সময় কাটান।

অন্যান্য আরো বিষয়ের মধ্যে আছে কসমেটিক সার্জারি, শ্বশুরবাড়ি এবং তারকা জগৎ।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের সুরা কোম্পানি ফার্স্টকেপ ক্যাফে কালেকশন। ব্রিটেনের ‘কুইন অব চ্যাট’ বা ‘কথার রানি’কে খুঁজে বের করতেই তাদের এ প্রয়াস।

কোম্পানির মুখপাত্র স্টিভ বার্টন বলেছেন, “বকবক করায় মেয়েদের জুড়ি নেই। আর কয়েকজন মেয়ে এক জায়গায় হলে তারা কী নিয়ে কথা বলে তা জানতে ছেলেদেরও আগ্রহের অন্ত নেই।”

এ কৌতুহলের অনেকটাই নিবৃত্তি ঘটিয়েছে এ গবেষণা।

এতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মেয়েই অন্য যে কারো চেয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে। জীবনসঙ্গী, মা ছাড়াও সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্ন ব্যাপার নিয়ে তারা কথা বলে।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মেয়েরা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাজের কথাই বলে । অন্যদিকে, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে গালগল্প করে সবচেয়ে বেশি।

এছাড়া ৩৬ শতাংশ নারী গোপন কথা চাপা রাখে না। বিশ্বাস করে যারা তাদেরকে গোপন কথা কলে তা তারা প্রায়ই তাদের জীবনসঙ্গীকে বলে দেয়।

ফার্স্ট ইমপ্রেশন: মাত্র ১১৯ সেকেন্ডেই

কারো সম্পর্কে ‘ফার্স্ট ইমপ্রেশন’ তৈরি হয় মাত্র ১১৯ সেকেন্ডে। যুক্তরাজ্যের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে ৮ জনের বেশি (৮৪ শতাংশ) ব্রিটিশ ফার্স্ট ইমপ্রেশনের মাধ্যমেই কোন ব্যক্তিকে বিচার করে।

এছাড়া, প্রতি ১০ জনে ১ জন (৯ শতাংশ) ফার্স্ট ইমপ্রেশনে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে যা ধারণা তৈরি হয়েছে তা বদলাতে চায় না।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, ‘এক্সপেরিয়ান ক্রেডিট এক্সপার্ট’ নামক যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান । আর গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকা।

এতে আরো দেখা গেছে, সুন্দর হাসি ও পরিচ্ছন্ন চুল ভালো ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক।
অন্যদিকে, কারো মুখের দুর্গন্ধ তার সম্পর্কে বাজে ধারণা তৈরি করে।

এক্সপেরিয়ানের ইন্টারএ্যকটিভ কর্মকর্তা পিটার টার্নার বলেছেন, “ডেটিং, চাকরির সাক্ষাৎকার, ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করা অথবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সামনেই মূলত ফার্স্ট ইমপ্রেশনের ব্যাপরটি আসে।”

ফার্স্ট ইমপ্রেশন: মাত্র ১১৯ সেকেন্ডেই

কারো সম্পর্কে ‘ফার্স্ট ইমপ্রেশন’ তৈরি হয় মাত্র ১১৯ সেকেন্ডে। যুক্তরাজ্যের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে ৮ জনের বেশি (৮৪ শতাংশ) ব্রিটিশ ফার্স্ট ইমপ্রেশনের মাধ্যমেই কোন ব্যক্তিকে বিচার করে।

এছাড়া, প্রতি ১০ জনে ১ জন (৯ শতাংশ) ফার্স্ট ইমপ্রেশনে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে যা ধারণা তৈরি হয়েছে তা বদলাতে চায় না।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, ‘এক্সপেরিয়ান ক্রেডিট এক্সপার্ট’ নামক যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান । আর গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকা।

এতে আরো দেখা গেছে, সুন্দর হাসি ও পরিচ্ছন্ন চুল ভালো ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক।
অন্যদিকে, কারো মুখের দুর্গন্ধ তার সম্পর্কে বাজে ধারণা তৈরি করে।

এক্সপেরিয়ানের ইন্টারএ্যকটিভ কর্মকর্তা পিটার টার্নার বলেছেন, “ডেটিং, চাকরির সাক্ষাৎকার, ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করা অথবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সামনেই মূলত ফার্স্ট ইমপ্রেশনের ব্যাপরটি আসে।”

'নারী ছলনাময়ী

- সাধারণত ধারণা করা হয় মেয়েরা তাদের জীবনসঙ্গীর প্রতি বেশি বিশ্বাসী ও অনুগত। কিন্তু এ ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। তাদের মতে, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বেশি প্রতারণা করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জনে একজন বা ২০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা যদি অন্য কোন পুরুষের প্রতি অনুরক্ত হন তবে ‘অবশ্যই’ তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন।

অন্যদিকে, এক্ষত্রে মাত্র ৯ শতাংশ পুরুষ তার সঙ্গীনির সঙ্গে প্রতারণা করবে বলে জানিয়েছেন।

৩ হাজার নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের ঘটকালি প্রতিষ্ঠান ‘কফি এন্ড কোম্পানি’। গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সান’।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়স্ক নারীরাই বেশি প্রতারণা করে। তাদের মধ্যে অনেকেই সন্তানহীনা যারা মাতৃত্বের স্বাদ পেতে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়।

‘কফি এন্ড কোম্পানি’র প্রধান লরেইন এ্যাডামস বলেছেন, “কখনো কখনো বিবাহিত নারীর মাতৃত্বের বাসনা নৈতিক মূল্যবোধ ছাপিয়ে যায়।”

এছাড়া, গবেষণা অনুযায়ী, ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতারণা করেছে এমন স্ত্রী বা প্রেমিকাকে ক্ষমা করবে। অন্যদিকে, ১২ শতাংশ নারী তার সঙ্গীকে ক্ষমা করবে বলে জানিয়েছেন।

জরিপ অনুযায়ী, প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা ২৫ শতাংশ অবিবাহিত নারী কোন বিবাহিত পুরুষের সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়াতে রাজি আছে বা এমন কারো সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতেও আপত্তি নেই।

অন্যদিকে, মাত্র ১২ শতাংশ অবিবাহিত পুরুষ কোন বিবাহিত নারীর সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে বা এমন একজনের সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতে রাজি আছে।

মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি সামাজিক

বন্ধুত্ব তৈরির ক্ষেত্রে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা বেশি সামাজিক। নতুন এক জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

দেখা গেছে, একজন ছেলের গড়ে ২৬ জন বন্ধু থাকে। অন্যদিকে, একজন মেয়ের গড়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে ১২ জন।

এতে আরো দেখা গেছে, মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি বন্ধু থাকে ২১ বছর বয়সে। এ বয়সেই মানুষের বন্ধুত্ব তৈরির প্রবণতা থাকে সবচেয়ে বেশি।

এ ব্যাপারে ম্যাচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওফ বেত্তি বলেছেন, “২১ বছর বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। আর সেকারণেই ওই সময় বন্ধুও হয় অনেক।”

জরিপটি পরিচালনা করেছে প্রসাধন কোম্পানী ‘নিভিয়া’ এবং এর ফল প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’।

গম্ভীর ছেলেদের পছন্দ করে মেয়েরা

হাশিখুশি নয়, বরং গম্ভীর ছেলেদের পছন্দ করে মেয়েরা। অন্যদিকে, ছেলেদের ভাললাগার ব্যাপারটি পুরোপুরি বিপরীত, তারা হাশিখুশি মেয়েই পছন্দ করে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যেসব ছেলের চেহারায় গর্ব ও লজ্জার অনুভূতি ফুটে উঠে তারা সহজেই নারী হৃদয় জয় করতে পারে।

গবেষকরা বলেছেন, হাশিখুশি মেয়েদের অনুগত ও অবলা হিসেবে দেখা হয় বলে সম্ভবত ছেলেরা তাদের পছন্দ করে।

অন্যদিকে, গবেষক জেসিকা ট্রেসি বলেছেন, “গর্ব হতে পারে পুরুষের আত্মবিশ্বাস এবং জীবনসঙ্গিনী ও সন্তান ভরণ পোষণ করার মত সামর্থ্যরে ইঙ্গিতবাহী সূচক।”

আর তাই চেহারায় গর্বের ছাপ থাকলে তাকে পছন্দ করে মেয়েরা।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীরা।

আমেরিকান সাইকোলোজিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত ‘ইমোশন’ নামক সাময়িকী গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে। আর গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে ‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’।

গবেষণায় ১ হাজারের বেশি নারী-পুরুষকে এমন কিছু ছবি দেখানো হয় যেগুলোতে বিভিন্ন অভিব্যক্তির চেহারা ফুটে উঠেছে।

এরপর ভাললাগার ভিত্তিতে ছবিগুলোকে নাম্বার দিতে বলা হয়। ছবিগুলোতে কিছু ভাবলেশহীন চেহারাও ছিল।

এরপর দেখা যায়, মেয়েরা সবচেয়ে কম আকৃষ্ট হয়েছে হাশিখুশি পুরুষদের প্রতি। অন্যদিকে, গর্বে যাদের মাথা উঁচু তাদের প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।

এছাড়া লাজুক চেহারার ছেলেদের প্রতিও তাদের আকর্ষণ দেখা গেছে।

রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১২

কৃশকায় হলেই নারী সুন্দরী হয়!

হালকা-পাতলা গড়ন, কৃশকায় দেহ ও বাড়তি মেদমুক্ত নারীদের সৌন্দর্যের আদর্শ হিসেবে বারবার গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। চলচ্চিত্র থেকে বিজ্ঞাপন জগত্—সব খানে এমন নারীদেরই জয়জয়কার। সুন্দর নারীর কথা বললে তাই মনে ভেসে ওঠে এমন গুণাবলি-সম্পন্ন মুখচ্ছবিগুলো।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বা কারিনা কাপুরের মতো কৃশকায় নারীদের যখন বারবার পর্দায় উপস্থাপন করা হয় সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে, তখন সচেতন বা অবচেতন মনে অনেক সাধারণ নারীও তাঁদের মতো করে ভাবতে থাকেন নিজেদের। তাঁদের মনেও বাসনা জাগে আদর্শ সুন্দরী হওয়ার। কিন্তু কৃশকায় হলেই একজন নারী সুন্দরী হয় না। ইসরায়েলের পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি বিল অন্তত সে কথাই বলছে।
বিলটি তৈরিতে অবদান রাখা রাচেল আদাতোর ভাষায়, কম ওজন ও কৃশকায় অবস্থা সৌন্দর্যের মাপকাঠি হতে পারে না। হালের টিভি অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র ও ম্যাগাজিনগুলো হালকা-পাতলা গড়নের জন্য কলার বোন বের হয়ে যাওয়া নারীকে সুন্দরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। অতিশয় কৃশকায় ও ছিপছিপে গড়নের নারীদের এভাবে মহিমান্বিত করার চেষ্টা বন্ধ করা উচিত। আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই তাঁরা বিলটি পাস করেন।
ওই বিল অনুযায়ী, মাংসল ও পেশিবহুল দেহের সূচকে নারীর কমপক্ষে ১৮.৫ পয়েন্ট থাকতে হবে। নইলে সেই নারীকে বিজ্ঞাপন বা ফ্যাশন শোতে উপস্থাপন করা যাবে না।
মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক ওজনধারী হওয়ার সচেতনতা তৈরিতে ইসরায়েলের ন্যাশনাল ইটিং ডিসঅর্ডারস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে প্রাউডটুবিমি নামের একটি ওয়েবসাইট। ওই ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ক্লেরি মিসকো বলেন, সুন্দর নারী হিসেবে ক্রমাগত কৃশকায় নারীদের উপস্থাপন করার বেশ কিছু খারাপ দিক আছে। পর্দায় দেখা সব নারীই এখন একই গড়নের। তাঁদের মধ্যে তেমন কোনো বৈচিত্র্য নেই। আর এই বিষয়টিকেই সবচেয়ে খারাপ দিক হিসেবে দেখছেন তিনি। তাঁর ভাষায়, সাধারণ মানুষ পর্দায় তাঁদের মতো কাউকে দেখতে পায় না। তাঁদের মতো গড়নের নারী বা পুরুষ পর্দায় একেবারেই অনুপস্থিত।
কৃশকায় নারীকে বারবার আদর্শ নারী হিসেবে উপস্থাপনের জন্য গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে প্রাউডটুবিমির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিবিসি অনলাইন। অনেক ম্যাগাজিনের সম্পাদক, মডেলিংয়ের এজেন্ট ও কলা-কুশলীদের পোশাক ডিজাইনার বলেছেন, তাঁরা বিভিন্ন গড়নের নারীকে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইলেও তা পারছেন না। কারণ, এই শিল্প-সংশ্লিষ্টরা নারীকে এভাবেই দেখতে আগ্রহী।
‘প্রাইসিং বিউটি: দ্য মেকিং অব এ ফ্যাশন মডেল’ বইয়ের লেখক আমান্ডা মিয়ার্স বলেন, বাস্তব জগতে যে গড়নের নারীর উপস্থিতি নেই, সেভাবে নিজেদের গড়ে তোলার ফাঁদে পড়ে এই মডেলরা। তবে তিনি মনে করেন, দেহের মাংসল সূচক অনুযায়ী একটি গোষ্ঠীর উচ্চতা-ওজনের একটি অনুপাত করা যায়, তবে এই সূচক ব্যবহার করে কোনো একক ব্যক্তির স্বাস্থ্যের পরিমাপ করা উচিত নয়। এই সূচকের ব্যাপাটিকে তিনি অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন।
কানাডায় গণমাধ্যম শিক্ষাবিষয়ক প্রকল্প মিডিয়া অ্যাওয়ার্নেস নেটওয়ার্কের পরিচালক ম্যাথু জনসন বলেন, এ ধরনের উদ্যোগের কারণে গণমাধ্যমে বিভিন্ন গড়নের নারীর উপস্থিতি বাড়বে। এতে করে অতি কৃশকায় হওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যাত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দ্য বডি মিথ বইয়ের লেখক ড. মেইন বলেন, শরীরের আকার কমাতে আমরা নারীদের বাধ্য করছি। কেউ হয়তো জন্মগতভাবে, আবার কেউ হয়তো খাবারজনিত সমস্যা ও অরুচির কারণে হালকা-পাতলা গড়নের হয়ে থাকেন। কিন্তু এই নারীদের ভিত্তি করে অন্যদেরও তাদের মতো করে গড়ে তোলার একটা উদ্যোগ সব সময় থাকে।
তবে সময় একটু একটু করে বদলাচ্ছে। কৃশকায় গড়নের অনেকেই এখন সমালোচনার মুখে পড়ছেন। এ তালিকায় প্রথম দিকে আছেন প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন। অনেকেই মিডলটনের লম্বার তুলনায় পাতলা গড়ন নিয়ে নানা মন্তব্য করেন। সম্প্রতি অস্কার অনুষ্ঠানের পর অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে নিয়েও টুইটারে বেশ সমালোচনা চলেছে।
আর এ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শারীরিক সৌন্দর্য-বিষয়ক পরামর্শক রেগান চাস্টেন। তিনি মনে করেন, অবাস্তব দৈহিক আকৃতি ধারণ করার যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা এই চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন জগতে চলছে, তার বিপরীতে এ ধরনের সমালোচনা একটু হলেও স্বস্তির বাতাস বইয়ে দেবে।

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১২

সুন্দরী নারীর সঙ্গ পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি

সুন্দরী নারীর সঙ্গ পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে। ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণায় এই তথ্য দেয়া হয়েছে। এ গবেষণায় বলা হয়, কোনো দৃষ্টিনন্দন নারীর সাক্ষাতের পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুরুষদের মধ্যে করটিসল (যে হরমোন শারীরিক ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে) নামের এক ধরনের হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। যেসব পুরুষ সাক্ষাৎ পাওয়া সুন্দরী নারীদের নিজেদের নাগালের বাইরে বলে মনে করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই প্রতিক্রিয়া আরও বেশি হয়। এতে পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও পুরুষত্বহীনতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানসিক ও শারীরিক চাপের সময় করটিসল নামের হরমোনটি উৎপন্ন হয়। বিজ্ঞানীরা ৮৪ জন ছেলে শিক্ষার্থীর ওপর এই গবেষণা চালান। এখানে একটি কক্ষে দুজন করে ছাত্রকে সুডোকু মেলাতে বলা হয়। কক্ষটিতে তাদের সঙ্গে একজন সুন্দরী তরুণী এবং একজন তরুণকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাঠানো হয়। এ দুজনই ছাত্রদের কাছে ছিল অপরিচিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যখন মেয়েটি স্বেচ্ছাসেবক ছেলেটিকে রেখে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়, তখন ওই দুই ছাত্রের করটিসল মাত্রা স্থির ছিল। কিন্তু ছেলেটি যখন তরুণীকে রেখে বের হয় তখন ছাত্র দুজনের করটিসল বৃদ্ধি পেতে থাকে। গবেষণাটি থেকে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, কোনো সুন্দরী ও মোহনীয় নারীর কাছাকাছি এলে অধিকাংশ পুরুষের মধ্যে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ এসেছে এমন ধারণার সৃষ্টি হতে পারে

বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১২

একেই কি বলে সত্যিকারের দেশপ্রেম ?

ধানমন্ডিতে গিয়েছিলাম কিছু কাজে। বাসায় ফিরব বলে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে আছি, রিকশা পাচ্ছিলাম না। যে রিকশাই দেখি, রিকশাওয়ালা ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ চেয়ে বসে। মেজাজটা এমনিতেই খারাপ কারণ সহ্যের সীমা অতিক্রম করে ফেলছিলাম। হঠাৎ একজন হ্যাঙলা পাতলা মতন ছেলে আমার সামনে রিকশা নিয়ে এসে বলল, “স্যার কোথায় যাবেন?” আমি একটু অবাক হলাম, কারণ রিকশাওয়ালারা সচরাচর স্যার বলে না, “মামা বলে”; আমি তাকে বললাম বকশিবাজার যাব, বোর্ড অফিসের পাশে। সে আমার কাছে ঠিক ঠিক ভাড়া চাইল। আমি মোটামুটি আকাশ থেকে পড়লাম, মনে করলাম এতক্ষণ পরে মনে হয় আধ্যাত্নিক সাহায্য এসে হাজির হয়েছে। যাইহোক বেশি চিন্তা না করে তাড়াতাড়ি রিকশাই উঠে পড়লাম। মনে মনে বললাম “আহ্‌! এখন একটু শান্তিমত মানুষ দেখতে দেখতে বাসায় যাওয়া যাবে”; ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে রিকশায় যাওয়াকে অনেক এনজয় করি। তবে সেদিনের রিকশা ভ্রমনটা একটু আলাদা ছিল। খেয়াল করছিলাম রিকশাওয়ালা অনেক সাবধানে চালিয়ে যাচ্ছিল। কাউকে গালি দিচ্ছিল না। অন্যের রিকশার সাথে লাগিয়ে দেওয়ার আগেই ব্রেক করছিল। কেউ তাকে গালি দিলে সে কিছু না বলে মাথা নিচু করে নিজের রিকশা চালানোতে ব্যস্ত ছিল। কিছুক্ষন পরে একটু অবাক হলাম, রিকশা যখন ঠিক ঢাকা কলেজের সামনে আসল, তখন রিকশাওয়ালা মুখে কাঁধের গামছাটা ভাল করে পেচিয়ে নিল। তার চেহারা ঠিকমত দেখা যাচ্ছিল না। ভেতরে ভেতরে একটু ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম, ভাবছিলাম এইবুঝি ছিনতাইকারী ধরবে। নিজেকে সামলিয়ে নিতে রিকশাওয়ালার সাথে কথা বলা শুরু করে দিলাম। সেই একই রকমের প্রশ্ন দিয়ে শুরু করলাম, “মামা বাড়ি কোথায়?” সে একিরকম উত্তর দিল, রংপুর। পরের প্রশ্ন করার আগেই বলল “স্যার বেশিদিন হয়নাই রিকশা চালাই”; স্বভাবতই জিজ্ঞাসা করলাম ঢাকা আসছ কবে? সে উত্তর দিল, “দুই বছরের কিছু বেশি হয়ছে”; এভাবেই অনেক কথা হল। একসময় হঠাৎ চালাতে গিয়ে আমার পায়ে টাচ্‌ লাগায় সে বলল, “সরি স্যার”; একটু অবাক হলাম তার ম্যানার দেখে। তাকে প্রশ্ন করতে দেরি করলাম না, “বললাম তুমি কি পড়ালেখা কর?” সে বলল, “স্যার অনার্স সেকেন্ড ইয়ার, ঢাকা কলেজে”; হতভম্ব হয়ে গেলাম। তার পোশাক আশাক চলন গড়ন আবার নতুন করে দেখা শুরু করলাম। দেখলাম পড়নে একটা প্যান্ট অনেক ময়লা, শার্টের কিছু জায়গায় ছেঁড়া। স্বাস্থ্য এতই কম যে মনে হয়, অনেক দিন না খেয়ে আছে। কৌতুহলবশত প্রশ্ন করলাম তুমি রিকশা চালাও কেন? সে বলল, তারা তিন বোন, এক ভাই। তার বাবা কিছুদিন আগে মারা গিয়েছে, মা ছোট থেকেই নেই। আগে বাবা দেশে দিনমজুর ছিল। এখন বাবা মারা যাওয়ার পরে তার তিন বোনকে সে ঢাকায় নিয়ে এসেছে, স্কুলে ভর্তি করিয়েছে, থাকে কামরাঙ্গির চরে, একটি রুম ভাড়া নিয়ে। কিছুদিন আগে তার দুইটি টিউশনি ছিল এখন একটিও নেই। সংসার চালানোর জন্য টাকা নেই যথেষ্ট, তাই উপায় না পেয়ে রাতের বেলা রিকশা চালাতে বের হয়েছে। মাঝে মাঝেই বের হয় এমন। তবে অনেক ভয়ে থাকে, যখন সে ঢাকা কলেজের পাশে দিয়ে যায়। পরিচিত কেউ দেখে ফেললে ক্লাস করাটা মুশকিল হয়ে যাবে। নিজে থেকেই বলল, “আমাকে হয়তো বলবেন অন্য কিছু করোনা কেন?” তারপর নিজে থেকেই উত্তর দেওয়া শুরু করল, পোলাপাইন অনেকে দেখি রাজনীতি করে, অনেক টাকা পায়, আবার অনেকে প্রতিদিন একটা করে মোবাইলের মালিকও হয়। কিন্তু আমার এমন কিছু করতে মন চায় না। সবসময় মনে করি একটা কথা, এই দেশকে কিছু না দিতে পারি কিন্তু এই দেশের কাছে থেকে জোর করে কিছু কেড়ে নিব না। আমার কাছে দেশ মানে আপনারা সবাই। আপনাদের সাথে কোন বেয়াদবি করা মানে দেশের সাথে নিমক*** করা। এই যে দেখেন আপনারা আছেন বলেই তো আমি এখন রিকশা চালায়ে কিছু টাকা আয় করতে পারছি। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে তার কথা শুনছিলাম। হঠাৎ সে আমাকে বলল স্যার চলে আসছি। আমি তাকে কিছু বেশি টাকা জোর করেই হাতে ধরিয়ে দিলাম। মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল। বাসায় এসে কোন কথা না বলেই শুয়ে পড়লাম বিছানায়।
মনে মনে ভাবছিলাম দেশপ্রেমটা আসলে কি? আমরা যখন অনেক বড় বড় কথা বলি, অনেক অনেক বড় বড় লোকের উদাহরণ দেই, বলি যে, “কি বিশাল দেশপ্রেমের উদাহরণ” কিন্তু আজকে যা দেখলাম, তা থেকে আমার মাথায় প্রোগ্রাম করা দেশপ্রেমের সংজ্ঞাটা বদলে গেল এবং কিছুটা অবাকই হলাম এইটা ভেবে, পাঠ্যবইয়ে কোথাও দেশসেবার কোন বিশদ উদাহরণ দেখিনাই বাস্তব ক্ষেত্রে। যা পড়েছি সবই তো এখন ইতিহাস। এখন অনেক বড়, দেশের সেবা করতে গেলে আসলে আমাদের কি করা উচিৎ? ব্যাপারটা নিয়ে অনেক ভাবার পরে ছোট মস্তিস্ক থেকে কিছু ছোট ছোট উত্তর মিলেছেঃ
আমার কাছে মনে হয়েছে দেশপ্রেম মানে দেশের মানুষকে ভালবাসা, আর দেশের সেবা মানে দেশের মানুষের সেবা করা।
অনেকের কাছে দেশের সেবা করা মানে হল শুধু গ্রামে গিয়ে গরিব শ্রেনীর মানুষকে সাহায্য করা, স্কুল তৈরি করে দেওয়া, রাস্তার পাশে খেতে না পারা ছেলেমেয়েকে খাওয়ানো, পড়ানো, শীতবস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি। এইসব অবশ্যই ভাল কাজ, দেশের সেবা, কিন্তু একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে বোঝা যায়, এইরকমের কাজ আমরা প্রতিনিয়ত করতে পারিনা। তারমানে কি আমরা প্রতিনিয়ত দেশের সেবা করতে পারব না? আরেকটু চিন্তা করে উপলব্ধি করা যায় যে, আমরা প্রতিনিয়ত যা করছি আমাদের কর্মজীবনে, সেটাকে ঠিকমত করাটাই হল দেশপ্রেম।
আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশকে স্বাধীন করে আমাদের কাছে আমানত হিসেবে রেখে গিয়েছেন, এই আমানতকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখাটায় হচ্ছে দেশপ্রেম, দেশের সেবা । এই সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্নজনের দায়িত্ব বিভিন্নরকম। কেউ ডাক্তার, কেউ প্রকৌশলী, কেউ শিক্ষক, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ঠিকাদার, কেউবা ঝাড়ুদার। কারও অবদান কোন দিক থেকে কোন অংশে কম না। তাই নিজের দায়িত্বকে কোন অংশে বড় করে না দেখে চিন্তা করা উচিৎ আমরা সবাই দেশের সেবা করছি, দেশ আমাদের সবার। মাকে যেমন তার ছেলেমেয়ে সবাই সমান ভালবাসতে পারে, তেমনি দেশ, যার ছেলে মেয়ে আমরা সবাই, আমরা চাইলেই সবাই নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে, নিজেদের কাজ ছেড়ে না দিয়ে, বরং নিজেদের কাজ যথাযথভাবে করেই দেশের সেবা করতে পারি

স্যালুট তোমাকে ভাইয়া..............