মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১২

ডিএনএ এখনো রহস্যময়!

আলাদাভাবে একজন ব্যাক্তির জীনের পূর্ণাঙ্গ সঙ্কেতলিপির পাঠোদ্ধার করা গেছে। সেই মানচিত্র দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে মানুষের জেনেটিক কোড বা জীন সংকেত যতোটা ভাবা হয়েছিল তার চেয়েও অনেক অনেক জটিল। যেমন, বিজ্ঞান এখনো বলতে পারে না কেন কারো চোখের রং নীল, কারোটা কালো কিংবা ধূসর।

এই গবেষণার অন্যতম উদ্যোক্তা ক্রেইগ ভেন্টারের নিজের ডিএনএ মানচিত্রতে দেখা যায় এমন ৪১ লক্ষ স্থান রয়েছে যেখানে তার জেনেটিক কোড রেফারেন্স মানব জেনোম থেকে ভিন্ন।

এটা যা ধারণা করা হয়েছিল তার থেকে অনেক অনেক বেশি আলাদা।

এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ভেন্টার বলেন, "আমার মনে হয় এই আবিস্কারের ফলে সবচেয়ে বড় যে বিস্ময়ের মুখোমুখি আমরা হয়েছি তা হলো আমরা যতোটা ভাবি তার চেয়েও আমরা একজন আরেকজনের তুলনায় অনেক বেশি ভিন্ন।"

ভেন্টার বলেন, " আমার নীল চোখ থাকার সম্ভাবনাই বেশি, এটা আমি জানি। কিন্তু আমার জেনেটিক কোডের দিকে তাকিয়ে শতকরা ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা দিয়েও আপনি বলতে পারবেন না যে আমার চোখ নীল কী না।"

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের জে ক্রেইগ ভেন্টর ইন্সটিটিউটের গবেষকরা কানাডার টরন্টোর দি হসপিটাল ফর সিক চিলড্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া সান ডিয়েগোর গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে ভেন্টার এর জেনেটিক কোড বিশ্লেষন করেন। ২০০১ সালে ভেন্টারের প্রাইভেট কোম্পানি ও সরকারি উদ্যোগে গঠিত হিউম্যান জেনোম প্রজেক্ট কর্তৃক প্রকাশিত মানব জিন মানচিত্রকে তারা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেন এবং তার সঙ্গে ভেন্টারের জেনেটিক কোডের তুলনা করেন।

২০০১ সালের জীন মানচিত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের ডিএনএ ব্যবহার করা হয়েছিল।

গবেষকরা পাবলিক লাইব্রেরি অফ সায়েন্স সাময়ীকি পিএলওএস বায়োলজিতে লেখা এক নিবন্ধে বলেন, "গড় জিন মানচিত্রের সঙ্গে ব্যাক্তিবিশেষের মানচিত্রের এহেন দূর্লভ ও বিস্তারিত নীরিক্ষা আগামীতে জীন গবেষণায় অনেক কাজে দেবে।"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন